Skip to main content

পরিবেশগত সমস্যা কীভাবে পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি করে আলোচনা কর

ভূমিকা

পরিবেশের বিভিন্ন উপাদানের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈবিক বৈশিষ্ট্যের যে অবাঞ্ছিত পরিবর্তন জীবের জীবনধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাকে পরিবেশ দূষণ বলা হয়। পরিবেশগত সমস্যা ও পরিবেশ দূষণ দুটি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত বিষয়। মূলত, বিভিন্ন পরিবেশগত সমস্যাই পরিবেশ দূষণের মূল কারণ হিসেবে কাজ করে। যখন পরিবেশের কোনো উপাদান বা ব্যবস্থার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, তখন তাকে পরিবেশগত সমস্যা বলা হয়। এই সমস্যাগুলোই নানা ধরনের দূষণের উৎস।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, বনভূমি উজাড়, জীবাশ্ম জ্বালানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো পরিবেশগত সমস্যাকে তীব্র করে তোলে এবং এর ফলস্বরূপ বায়ু, পানি, মাটি ও শব্দ দূষণ সৃষ্টি হয়। পরিবেশের এই দূষণ শুধুমাত্র প্রকৃতির ক্ষতি করে না, বরং এটি মানব স্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এবং উন্নয়নশীল দেশের জন্য পরিবেশ দূষণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার প্রায় ২৮ শতাংশই পরিবেশ দূষণজনিত রোগের কারণে ঘটে। এই প্রেক্ষাপটে, পরিবেশগত সমস্যাগুলো কীভাবে বিভিন্ন প্রকার দূষণ সৃষ্টি করে, তার কারণ, প্রভাব এবং নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করা অপরিহার্য।

পরিবেশ দূষণের প্রধান ধরণ ও সংশ্লিষ্ট পরিবেশগত সমস্যা

পরিবেশ দূষণকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়: বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ এবং শব্দ দূষণ। প্রতিটি দূষণের পেছনে নির্দিষ্ট কিছু পরিবেশগত সমস্যা জড়িত। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. বায়ু দূষণ (Air Pollution)

বায়ুতে বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস, ধূলিকণা, ধোঁয়া বা দুর্গন্ধ মিশে যখন তা জীবজগতের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, তখন তাকে বায়ু দূষণ বলে। বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকা শহর, বায়ু দূষণের মারাত্মক শিকার। এর প্রধান কারণগুলো হলো:

  • অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার: শিল্পকারখানাগুলোতে নিম্নমানের জ্বালানি, যেমন কয়লা ও অপরিশোধিত তেল ব্যবহার করার ফলে বিপুল পরিমাণে সালফার ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। বাংলাদেশের শিল্পকারখানাগুলোতে প্রায়শই দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (ETP) থাকে না বা থাকলেও তা সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয় না।

  • যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া: পুরনো ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বায়ু দূষণের একটি অন্যতম প্রধান উৎস। ঢাকায় চলাচলকারী যানবাহনের একটি বড় অংশ মেয়াদোত্তীর্ণ, যা থেকে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও অতিক্ষুদ্র কণা (PM2.5) বাতাসে মেশে।

  • ইটভাটা: শহর ও এর আশেপাশে গড়ে ওঠা হাজার হাজার ইটভাটা বায়ু দূষণের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। বাংলাদেশে প্রায় ৮ হাজার ইটভাটা রয়েছে, যার প্রায় ৬০ শতাংশই অবৈধ এবং এগুলোতে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই নিম্নমানের জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরের বায়ু দূষণের প্রায় ৫৮ শতাংশের জন্য ইটভাটা দায়ী।

  • নির্মাণকাজ ও ধুলাবালি: অপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত নির্মাণকাজ, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এবং শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি বাতাসে ক্ষুদ্র কণার পরিমাণ মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে দেয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

  • বনভূমি উজাড়: গাছপালা কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখে। নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস করার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও বায়ু দূষণ উভয়কেই ত্বরান্বিত করছে।

২. পানি দূষণ (Water Pollution)

পানিতে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ মিশে যখন তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে এবং জলজ প্রাণের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তখন তাকে পানি দূষণ বলে। বাংলাদেশে নদীমাতৃক দেশ হওয়া সত্ত্বেও এর প্রধান নদীগুলো, যেমন—বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ—মারাত্মক দূষণের শিকার। এর প্রধান কারণগুলো হলো:

  • শিল্প-কারখানার বর্জ্য: শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত অপরিশোধিত রাসায়নিক বর্জ্য সরাসরি নদী বা জলাশয়ে ফেলা হয়। বিশেষ করে, ঢাকার হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প বুড়িগঙ্গা নদী দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। এ ধরনের বর্জ্যে ভারী ধাতু যেমন—পারদ, সিসা, ক্রোমিয়াম ও বিভিন্ন এসিড থাকে, যা জলজ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে।

  • গৃহস্থালি ও পয়ঃনিষ্কাশন বর্জ্য: শহরাঞ্চলে উৎপন্ন বিপুল পরিমাণ গৃহস্থালি ও পয়ঃনিষ্কাশন বর্জ্য সঠিকভাবে পরিশোধন না করে সরাসরি নদী-নালায় ফেলা হয়, যা পানিকে দূষিত করে এবং কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত রোগের বিস্তার ঘটায়।

  • কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিকের ব্যবহার: জমিতে ব্যবহৃত অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বৃষ্টির পানির সাথে ধুয়ে খাল-বিল ও নদীতে গিয়ে মেশে। এই রাসায়নিকগুলো পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং "ইউট্রোফিকেশন" (Eutrophication) নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শৈবালের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে তোলে, যা জলজ প্রাণীর মৃত্যুর কারণ হয়।

  • নৌযান থেকে নির্গত তেল ও বর্জ্য: নদীপথে চলাচলকারী লঞ্চ, জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান থেকে নির্গত তেল, গ্রিজ এবং মানববর্জ্য পানি দূষণের অন্যতম কারণ।

৩. মাটি দূষণ (Soil Pollution)

মাটির স্বাভাবিক গুণাগুণ নষ্টকারী কোনো পদার্থ মাটিতে মিশে যখন এর উর্বরতা হ্রাস করে এবং উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে, তখন তাকে মাটি দূষণ বলে। বাংলাদেশে মাটি দূষণের প্রধান কারণগুলো হলো:

  • কৃষিতে রাসায়নিকের অতিরিক্ত ব্যবহার: অধিক ফলনের আশায় কৃষিজমিতে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এসব রাসায়নিক মাটির উপকারী অণুজীবগুলোকে ধ্বংস করে এবং মাটির উর্বরতা কমিয়ে দেয়।

  • শিল্পবর্জ্য ও কঠিন বর্জ্য: শিল্প-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য এবং শহরাঞ্চলের কঠিন বর্জ্য, বিশেষ করে অপচনশীল প্লাস্টিক ও পলিথিন, মাটিতে মিশে এর গঠন ও গুণাগুণ নষ্ট করে। বাংলাদেশে শহরগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার একটি বড় অংশই মাটি দূষণ ঘটায়।

  • বনভূমি উজাড় ও ভূমিক্ষয়: গাছপালা মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে। ব্যাপকহারে বৃক্ষনিধনের ফলে মাটি আলগা হয়ে যায় এবং বৃষ্টি বা বন্যার সময় উপরিভাগের উর্বর মাটি সহজেই ক্ষয় হয়ে যায়।

  • লবণাক্ততা বৃদ্ধি: জলবায়ু পরিবর্তন এবং উজানের নদীগুলোর প্রবাহ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মাটির লবণাক্ততা বাড়ছে, যা ফসলের উৎপাদনের জন্য মারাত্মক হুমকি।

৪. শব্দ দূষণ (Noise Pollution)

পরিবেশে যখন সহনীয় মাত্রার চেয়ে অধিক শব্দের সৃষ্টি হয়, যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, তখন তাকে শব্দ দূষণ বলে। ঢাকা বিশ্বের অন্যতম কোলাহলপূর্ণ শহর। এর প্রধান কারণগুলো:

  • যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন: যানবাহনের উচ্চমাত্রার এবং অপ্রয়োজনীয় হর্নের ব্যবহার শব্দ দূষণের প্রধান কারণ।

  • শিল্প-কারখানা ও নির্মাণকাজ: শিল্প-কারখানার যন্ত্রপাতি এবং নির্মাণকাজের ভারী যন্ত্রপাতির শব্দ পরিবেশের শব্দের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

  • জেনারেটর ও লাউডস্পিকার: বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় ব্যবহৃত জেনারেটর এবং বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত লাউডস্পিকার শব্দ দূষণের জন্য দায়ী।

বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণের প্রভাব

পরিবেশ দূষণের কারণে বাংলাদেশ বহুমাত্রিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এর প্রভাবগুলো হলো:

১. জনস্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

পরিবেশ দূষণের কারণে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বায়ু দূষণের ফলে শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হাঁপানি, ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। অনিরাপদ ও দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড ও চর্মরোগের মতো পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ বছরে প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের অকালমৃত্যুর কারণ।

২. অর্থনীতির উপর প্রভাব

পরিবেশ দূষণ দেশের অর্থনীতির উপরও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দূষণের কারণে সৃষ্ট রোগের চিকিৎসা বাবদ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় বৃদ্ধি পায়। পানি ও মাটি দূষণের ফলে কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস পায়, যা ফসল উৎপাদন কমিয়ে দেয়। নদী দূষণের কারণে মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে, যা জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকার উপর আঘাত হানছে। ২০১৯ সালে পরিবেশগত কারণে বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ১৭.৬% সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।

৩. জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব

দূষণের ফলে দেশের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর পানি দূষিত হওয়ায় অনেক দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বনভূমি উজাড়ের ফলে বন্যপ্রাণীরা তাদের আবাসস্থল হারাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সুন্দরবনের মতো সংবেদনশীল বাস্তুতন্ত্রের উপর লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব বাড়ছে।

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয়

পরিবেশ দূষণের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে সমন্বিত ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করা অপরিহার্য। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ: পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। দূষণকারী শিল্প-কারখানা ও যানবাহনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।

  • দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির ব্যবহার: শিল্প-কারখানায় বর্জ্য শোধনাগার বা এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ETP) স্থাপন ও এর সঠিক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে হবে।

  • বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য "3R" নীতি (Reduce, Reuse, Recycle) অনুসরণ করতে হবে। জৈব বর্জ্য থেকে সার এবং অপচনশীল বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে দূষণ কমানো সম্ভব।

  • বনায়ন ও সবুজায়ন: ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। নগর এলাকায় সবুজায়ন বাড়াতে হবে, যা বায়ু ও শব্দ দূষণ কমাতে সহায়ক।

  • নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার: জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

  • জনসচেতনতা বৃদ্ধি: পরিবেশ দূষণের কারণ ও এর ভয়াবহতা সম্পর্কে গণমাধ্যম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।

উপসংহার

পরিবেশগত সমস্যা এবং পরিবেশ দূষণ একটি জটিল ও আন্তঃসম্পর্কিত বিষয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের মতো পরিবেশগত সমস্যাগুলোই বায়ু, পানি, মাটি ও শব্দ দূষণের মূল কারণ। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য।

এর জন্য প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ, আইনের কঠোর প্রয়োগ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সর্বোপরি ব্যাপক জনসচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা। পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই একটি সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গড়ে তোলা সম্ভব।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

একই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট

জনসংখ্যা কীভাবে পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি করে আলোচনা কর।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাপ বাড়ে, যার ফলে বায়ু, পানি ও মাটি দূষিত হয়। এই আলোচনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি কীভাবে নগরায়ন, শিল্পায়ন, বনভূমি উজাড় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূষণ সৃষ্টি করে, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তার বিশদ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের প্রভাব ও তা নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।

পড়ুন

বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে গৃহীত পদক্ষেপ আলোচনা কর।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে গৃহীত সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম, এবং এর সাফল্য ও চ্যালেঞ্জসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এই আলোচনা অনার্স পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাসঙ্গিক।

পড়ুন