Skip to main content

ভূমিকা

বাংলাদেশে নারী আন্দোলনের ইতিহাস অত্যন্ত দীর্ঘ এবং বহুমাত্রিক। এটি কেবল নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রাম নয়, বরং এটি দেশের প্রতিটি সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঔপনিবেশিক শাসন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিটি পর্যায়ে নারীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এবং নিজেদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন।

এই আন্দোলনের প্রকৃতি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে এর লক্ষ্য ছিল মূলত সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এবং শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। পাকিস্তান আমলে এটি রাজনৈতিক স্বাধিকারের আন্দোলনের সাথে একীভূত হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর নারী আন্দোলন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে এবং নারীর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবব্যবস্থা, ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং বৈষম্যমূলক আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের নারী আন্দোলন বর্তমানে একটি শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে।

ঔপনিবেশিক যুগে নারী আন্দোলনের সূচনা

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে বাঙালি সমাজে নবজাগরণের ছোঁয়া লাগলে নারী আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এই সময়ে সামাজিক সংস্কারমূলক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নারী অধিকারের বিষয়টি আলোচনায় আসে।

১. সমাজ সংস্কার ও নারী জাগরণ

উনিশ শতকের সমাজ সংস্কারকরা সতীদাহ প্রথা, বাল্যবিবাহ এবং বিধবাবিবাহের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন, যা পরোক্ষভাবে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখের নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলনগুলো নারীর সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

২. বেগম রোকেয়ার অবদান

বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২)। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, শিক্ষা ছাড়া নারীর মুক্তি অসম্ভব। এ লক্ষ্যে তিনি ১৯০৯ সালে ভাগলপুরে 'সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল' প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়। নিজের লেখনীর মাধ্যমেও তিনি নারী শিক্ষার গুরুত্ব এবং নারী-পুরুষের সমতার কথা তুলে ধরেন। তাঁর 'সুলতানার স্বপ্ন' (১৯০৫) এবং 'মতিচূর' (১৯০৪) গ্রন্থে নারীমুক্তির বলিষ্ঠ আহ্বান জানানো হয়েছে। রোকেয়াকে প্রথম বাঙালি নারীবাদী হিসেবে অভিহিত করা হয়, যার হাত ধরে এই অঞ্চলে নারীবাদী আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সূত্রপাত ঘটে।

পাকিস্তান আমলে নারী অধিকারের সংগ্রাম

৪৭-এ দেশভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে নারী আন্দোলন একটি নতুন মাত্রা লাভ করে। এই সময়ে নারীরা শুধু নিজেদের অধিকারের জন্য নয়, বরং বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১. ভাষা আন্দোলনে নারীর অংশগ্রহণ

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে নারীরা, বিশেষত ছাত্রীরা, পুরুষের পাশাপাশি রাজপথে নেমে আসেন। তাঁরা মিছিলে অংশগ্রহণ, পোস্টার লাগানো, চাঁদা সংগ্রহ এবং আহতদের সেবা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করেছেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার ক্ষেত্রেও নারীরা সাহসিকতার পরিচয় দেন। ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু, সুফিয়া কামাল, হালিমা খাতুনসহ আরও অনেকের অবদান ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। ৩১ জানুয়ারি ১৯৪৮ সালে সর্বদলীয় সভায় ইডেন কলেজের ছাত্রী মাহবুবা খাতুন ঘোষণা দেন, 'বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি স্বীকার করিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন হলে মেয়েরা তাদের রক্ত বিসর্জন দেবে।' এই অংশগ্রহণ ছিল বাঙালি নারীর রাজনৈতিক চেতনার এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

২. ষাটের দশকের আন্দোলন

১৯৬২-র শিক্ষা আন্দোলন এবং ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মতো পাকিস্তান বিরোধী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। এসময়েই কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল 'পূর্ব পাকিস্তান মহিলা পরিষদ' (বর্তমানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম নারী অধিকার সংগঠন।

মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান ও আত্মত্যাগ

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান ছিল বহুমুখী এবং অপরিমেয়। নারীরা একদিকে যেমন সশস্ত্র যোদ্ধা হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, তেমনি অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়, তথ্য ও সেবা দিয়ে সহায়তা করেছেন।

  • সরাসরি অংশগ্রহণ: অনেক নারী অস্ত্র হাতে প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তারামন বিবি, কাঁকন বিবি, শিরিন বানু মিতিলের মতো বীর নারীরা তাদের সাহসিকতার জন্য ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

  • সহায়ক শক্তি: নারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য খাদ্য সংগ্রহ, রান্না, সেবা-শুশ্রূষা এবং তথ্য সরবরাহ করে যুদ্ধের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছিলেন। তারা প্রায়শই নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখতেন এবং অস্ত্রশস্ত্র আনা-নেওয়ার কাজ করতেন।

  • আত্মত্যাগ: মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা লাখ লাখ নারী নির্মম নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন। তাদের এই আত্মত্যাগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক বেদনাদায়ক ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে সরকার তাদের "বীরাঙ্গনা" খেতাবে ভূষিত করে।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে নারী আন্দোলনের বিকাশ

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে নারী আন্দোলন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর বিকাশ ঘটে। এই সময়ে নারীর অধিকার সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং বিভিন্ন নারী সংগঠন গড়ে ওঠে।

১. প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ও সংগঠন

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারীপক্ষ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর মতো অসংখ্য বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন (এনজিও) গড়ে ওঠে। এই সংগঠনগুলো নারীর আইনগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

২. আইন ও নীতি সংস্কার

নারী আন্দোলনের চাপে সরকার বিভিন্ন সময়ে নারী অধিকার রক্ষায় আইন প্রণয়ন ও নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০: এই আইনটি নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা দমনের একটি শক্তিশালী আইনি কাঠামো।

  • যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮: যৌতুকের মতো একটি সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে এই আইন প্রণয়ন করা হয়।

  • পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০: পারিবারিক পরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই আইন প্রণীত হয়।

  • জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, ২০১১: ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রণীত এই নীতির লক্ষ্য জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা করা।

৩. রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন

বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। জাতীয় সংসদ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশে নারী আন্দোলনের প্রকৃতি

বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের প্রকৃতিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বিশ্লেষণ করা যায়:

  • অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক: এই আন্দোলন বরাবরই দেশের গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সঙ্গে একাত্ম হয়ে পরিচালিত হয়েছে।

  • বহুমুখী: এটি শুধু রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক অধিকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। নারীর সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যও এই আন্দোলন কাজ করেছে।

  • রাষ্ট্র ও পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম: বাংলাদেশের নারী আন্দোলনকে একই সাথে রাষ্ট্রীয় উদাসীনতা এবং সমাজের গভীরে প্রোথিত পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে।

  • তৃণমূল সম্পৃক্ততা: বিভিন্ন এনজিও এবং সংগঠনের মাধ্যমে এই আন্দোলন শহরের গণ্ডি পেরিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যা গ্রামীণ নারীদের সংগঠিত ও সচেতন করতে সাহায্য করেছে।

অর্জন ও সাফল্য

দীর্ঘ সংগ্রামের ফলে বাংলাদেশের নারী আন্দোলন অনেক সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • শিক্ষা ও সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি: নারীশিক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

  • কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ: বিশেষ করে পোশাক শিল্প এবং ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

  • আইনি সুরক্ষা: নারী অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন আইন প্রণীত হয়েছে।

  • রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

  • নারী নেতৃত্বের বিকাশ: সরকার, প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা সাফল্যের সাথে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ

অনেক অর্জন সত্ত্বেও বাংলাদেশের নারী আন্দোলনকে এখনো বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে:

  • নারীর প্রতি সহিংসতা: ধর্ষণ, পারিবারিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং অ্যাসিড সন্ত্রাসের মতো সহিংসতা এখনো সমাজের এক ভয়াবহ বাস্তবতা।

  • আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব: অনেক আইন থাকা সত্ত্বেও এর সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে।

  • সম্পত্তিতে সমান অধিকারের অভাব: পারিবারিক সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

  • ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সামাজিক কুসংস্কার: নারী অধিকারের বিরুদ্ধে এখনো বিভিন্ন ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী ও সামাজিক কুসংস্কার সক্রিয়।

  • অর্থনৈতিক বৈষম্য: কর্মক্ষেত্রে নারীরা প্রায়শই মজুরি বৈষম্যের শিকার হন।

ভবিষ্যতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নারী-পুরুষের প্রকৃত সমতা প্রতিষ্ঠা করাই হবে নারী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।

উপসংহার

বাংলাদেশে নারী আন্দোলনের ইতিহাস একটি ধারাবাহিক সংগ্রামের ইতিহাস, যা দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বেগম রোকেয়ার নারী শিক্ষার স্বপ্ন থেকে শুরু করে আজকের দিনে নারীর ক্ষমতায়নের সংগ্রাম পর্যন্ত এই আন্দোলন এক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। বহু অর্জন সত্ত্বেও নারীর প্রতি সহিংসতা, বৈষম্য এবং পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতার মতো চ্যালেঞ্জগুলো এখনো বিদ্যমান। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হলে নারী আন্দোলনের এই সংগ্রামকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

একই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের প্রতিবন্ধকতাসমূহ আলোচনা কর।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতাসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, রাজনৈতিক দলগুলোর উদাসীনতা, সহিংসতা এবং নিরাপত্তার অভাব কীভাবে নারীদের রাজনৈতিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে, তা এই আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে।

পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর নেতৃত্বমূলক ভূমিকা আলোচনা কর।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর নেতৃত্বমূলক ভূমিকার একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণ। এই আলোচনায় স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতোত্তর রাজনীতি, বর্তমান অবস্থান এবং নারী নেতৃত্বের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও চ্যালেঞ্জসমূহ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

পড়ুন