Skip to main content

ভূমিকা

১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন কর্তৃক কার্যকর হওয়া বঙ্গভঙ্গ ছিল ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। প্রশাসনিক সুবিধার কথা বলা হলেও এর পেছনে ব্রিটিশদের 'ভাগ করো ও শাসন করো' (Divide and Rule) নীতিই মূল উদ্দেশ্য ছিল। এই বিভাজনের ফলে সৃষ্ট তীব্র রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা ব্রিটিশ সরকারকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে। অবশেষে, ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লির দরবারে সম্রাট পঞ্চম জর্জ বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।

বঙ্গভঙ্গ রদ যেমন একটি আন্দোলনের বিজয় ছিল, তেমনি এটি ভারতীয় উপমহাদেশে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের জন্ম দেয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, যা তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে জটিল করে তোলে এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ এবং এর ফলে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়াগুলো ছিল সুদূরপ্রসারী ও বহুমাত্রিক।

বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ

ব্রিটিশ সরকার বিভিন্নমুখী চাপ এবং রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয়েছিল। এর পেছনের প্রধান কারণগুলো নিম্নরূপ:

১. তীব্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী ও স্বদেশী আন্দোলন

বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সংগঠিত এবং শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলার হিন্দু মধ্যবিত্ত এবং জাতীয়তাবাদী নেতারা। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জীর মতো নেতারা বঙ্গভঙ্গকে "বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদ" বলে অভিহিত করে এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনই স্বদেশী আন্দোলন নামে পরিচিতি লাভ করে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ব্রিটিশ পণ্য বর্জন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বয়কট এবং দেশীয় পণ্যের ব্যবহার উৎসাহিত করা হয়। এই ব্যাপক গণঅংশগ্রহণ ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে চাপের মুখে ফেলে দেয়।

২. বিপ্লবী ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিস্তার

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশাপাশি বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলায় বিপ্লবী বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিস্তার ঘটে। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তরের মতো গুপ্ত সংগঠনগুলো ব্রিটিশ কর্মকর্তা ও স্থাপনার ওপর সশস্ত্র হামলা পরিচালনা শুরু করে। বাংলার গভর্নরকে হত্যার চেষ্টা এবং অন্যান্য সহিংস ঘটনা ব্রিটিশ সরকারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তোলে। এই ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ব্রিটিশ সরকারকে তাদের বিভাজন নীতি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে।

৩. ব্রিটিশ সরকারের নীতি পরিবর্তন

১৯০৫ সালের পর ব্রিটেনে ক্ষমতার পালাবদল ঘটে এবং উদারপন্থী দল সরকার গঠন করে। ভারতের নতুন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ এবং ভারত সচিব লর্ড মর্লি উভয়ই বুঝতে পারছিলেন যে বঙ্গভঙ্গ নিয়ে সৃষ্ট অস্থিরতা ব্রিটিশ শাসনের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। লর্ড হার্ডিঞ্জ ভারতীয়দের সন্তুষ্ট করার এবং ব্রিটিশ শাসনের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তিনি বুঝতে পারেন যে বঙ্গভঙ্গ রদ না করলে বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।

৪. কংগ্রেসের ধারাবাহিক রাজনৈতিক চাপ

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রথম থেকেই বঙ্গভঙ্গের তীব্র বিরোধিতা করে আসছিল। কংগ্রেস এটিকে ব্রিটিশদের "ভাগ করো ও শাসন করো" নীতির একটি ঘৃণ্য প্রয়োগ হিসেবে চিহ্নিত করে। কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনগুলোতে বঙ্গভঙ্গ রদের দাবি নিয়মিতভাবে উত্থাপিত হতে থাকে এবং দেশব্যাপী এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা হয়। এই ধারাবাহিক রাজনৈতিক চাপ ব্রিটিশ সরকারের ওপর এক ধরনের নৈতিক ও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা তৈরি করে।

৫. মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের বিরোধিতা

যদিও ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ এবং মুসলিম লীগের নেতারা বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ছিলেন, কারণ এটি পূর্ববঙ্গের মুসলিমদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছিল, কিন্তু সব মুসলমান এই বিভাজনকে সমর্থন করেননি। ব্যারিস্টার আব্দুর রসুল, লিয়াকত হোসেন এবং আবুল কালাম আজাদের মতো কিছু মুসলিম নেতা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেছিলেন এবং হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এটি প্রমাণ করে যে বঙ্গভঙ্গ নিয়ে মুসলিম সমাজেও ভিন্নমত ছিল।

৬. সম্রাট পঞ্চম জর্জের ভারত সফর ও দিল্লি দরবার

১৯১১ সালে ব্রিটিশ সম্রাট পঞ্চম জর্জের ভারত সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সফরকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয়দের অসন্তোষ প্রশমিত করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখে। ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ প্রস্তাব করেন যে, সম্রাটের মুখ থেকে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা এলে তা ভারতীয়দের কাছে একটি রাজকীয় উপহার হিসেবে বিবেচিত হবে এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব ইতিবাচক হবে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর দিল্লির রাজকীয় দরবারে সম্রাট পঞ্চম জর্জ স্বয়ং বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।

এর পাশাপাশি ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়, যা ছিল بنگالی জাতীয়তাবাদের কেন্দ্রবিন্দুকে দুর্বল করার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।

বঙ্গভঙ্গ রদের প্রতিক্রিয়া

বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা ভারতীয় সমাজে মিশ্র ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন, যা উপমহাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।

১. হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া

বঙ্গভঙ্গ রদকে হিন্দু সম্প্রদায়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিন্দুরা, তাদের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এক বিশাল বিজয় হিসেবে দেখে।

  • বিজয় উৎসব: এই ঘোষণাকে তারা আনন্দের সাথে বরণ করে নেয় এবং বিজয় উৎসব পালন করে। কংগ্রেস এবং জাতীয়তাবাদী নেতারা এটিকে গণআন্দোলনের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেন।
  • ঐক্যবদ্ধ বাংলার পুনঃপ্রতিষ্ঠা: তাদের কাছে এটি ছিল 'বঙ্গমাতার' পুনঃএকত্রীকরণ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিজয়।
  • ব্রিটিশদের প্রতি মনোভাব: এই ঘটনা প্রমাণ করে যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তকেও পরিবর্তন করা সম্ভব, যা পরবর্তী স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।

২. মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া

বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে মুসলিম সম্প্রদায়, বিশেষত পূর্ববঙ্গের মুসলমানরা, গভীরভাবে হতাশ, ক্ষুব্ধ এবং প্রতারিত বোধ করে।

  • বিশ্বাসঘাতকতার অনুভূতি: মুসলমানরা মনে করে ব্রিটিশ সরকার হিন্দুদের চাপের মুখে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববঙ্গে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ গঠিত হয়েছিল, যেখানে মুসলমানরা শিক্ষা, চাকরি এবং রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছিল। রদের ফলে সেই সম্ভাবনাগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
  • কংগ্রেসের প্রতি অবিশ্বাস: এই ঘটনা মুসলিমদের মনে কংগ্রেসের প্রতি недоверие আরও বাড়িয়ে তোলে। তারা নিশ্চিত হয় যে কংগ্রেস মূলত হিন্দু স্বার্থরক্ষার জন্যই কাজ করে এবং মুসলিমদের স্বার্থ তাদের কাছে গুরুত্বহীন।
  • মুসলিম লীগের রাজনীতির শক্তিবৃদ্ধি: বঙ্গভঙ্গ রদ মুসলিম লীগকে রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলে। নবাব সলিমুল্লাহর মতো নেতারা বুঝতে পারেন যে ব্রিটিশ বা কংগ্রেস, কেউই মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষা করবে না। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য একটি পৃথক এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা মুসলিম সমাজে আরও জোরালোভাবে অনুভূত হয়।

৩. সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব

বঙ্গভঙ্গ রদের প্রতিক্রিয়া কেবল সাময়িক ছিল না, এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী।

  • হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতি: এই ঘটনা হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক এবং রাজনৈতিক বিভেদকে স্থায়ী রূপ দেয়। মুসলমানরা অনুভব করে যে একটি হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে না। এই বিভেদ পরবর্তীতে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি তৈরি করে।
  • পৃথক রাজনৈতিক ধারার সূচনা: বঙ্গভঙ্গ রদ ভারতীয় রাজনীতিতে দুটি পৃথক ধারার জন্ম দেয়। একদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে অখণ্ড ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, অন্যদিকে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে মুসলিমদের জন্য পৃথক অধিকার ও প্রতিনিধিত্বের রাজনীতি।
  • ঢাকার গুরুত্ব হ্রাস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা: বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে পূর্ববঙ্গের রাজধানী হিসেবে ঢাকার যে গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল, তা হ্রাস পায়। মুসলমানদের এই ক্ষোভ ও হতাশা প্রশমিত করার একটি উদ্যোগ হিসেবে ব্রিটিশ সরকার ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়, যার ফলস্বরূপ ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

উপসংহার

বঙ্গভঙ্গ রদ ছিল ব্রিটিশ সরকারের একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ, যা তীব্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের চাপে নেওয়া হয়েছিল। যদিও এটি স্বদেশী আন্দোলনের বিজয় হিসেবে প্রশংসিত হয়, তবে এর পরিণতি ছিল জটিল ও বহুমাত্রিক। এই সিদ্ধান্ত মুসলিম সমাজকে গভীরভাবে বিচ্ছিন্ন ও হতাশ করে, যা তাদের ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আনুগত্য থেকে সরিয়ে দেয় এবং নিজস্ব রাজনৈতিক পরিচয়ের অন্বেষণে উদ্বুদ্ধ করে।

বঙ্গভঙ্গ রদের ঘটনা হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে недоверие ও দূরত্বের সৃষ্টি করেছিল, তা আর কখনোই পুরোপুরি দূর হয়নি। বরং এই বিভেদ সময়ের সাথে সাথে আরও বৃদ্ধি পায় এবং অবশেষে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের মতো ঘটনার জন্ম দেয়। সুতরাং, বঙ্গভঙ্গ রদ ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক, যা কেবল বাংলার মানচিত্রই নয়, এর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথকেও নতুনভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

একই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট

উপমহাদেশের মুসলিম রাজনীতির বিকাশ আলোচনা কর।

ব্রিটিশ ভারতে উপমহাদেশের মুসলিম রাজনীতির বিকাশ একটি ঐতিহাসিক এবং জটিল প্রক্রিয়া। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর থেকে শুরু করে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগ পর্যন্ত এর বিবর্তন ঘটে। এই সময়ের মধ্যে মুসলিমদের রাজনৈতিক চেতনা, স্বাতন্ত্র্যবোধ এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রাম বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগঠনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। স্যার সৈয়দ আহমদ খানের সংস্কার আন্দোলন, কংগ্রেসের প্রতি মুসলিমদের সংশয়, বঙ্গভঙ্গ এবং মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা এই ধারার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। লক্ষ্ণৌ চুক্তি, খিলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মতো ঘটনাগুলো হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের সম্ভাবনা তৈরি করলেও নেহেরু রিপোর্ট এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ মুসলিমদের জন্য পৃথক রাজনৈতিক পথ অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি করে। আল্লামা ইকবালের দার্শনিক ভাবনা, জিন্নাহর চৌদ্দ দফা এবং লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্রের দাবি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে, যা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এই দীর্ঘ পথচলা উপমহাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রকে স্থায়ীভাবে পরিবর্তন করে দেয়।

পড়ুন

খিলাফত আন্দোলনের কারণ ও গুরুত্ব আলোচনা কর।

খিলাফত আন্দোলন ছিল ব্রিটিশ ভারতে মুসলিমদের দ্বারা পরিচালিত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের পরাজয় এবং খলিফার মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। এর প্রধান কারণগুলো ছিল ধর্মীয় অনুভূতি, ব্রিটিশদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা। এই আন্দোলন হিন্দু-মুসলিম ঐক্য জোরদার করে এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন মাত্রা যোগ করে। এর ফলে মুসলিম সমাজে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শক্তিশালী হয়।

পড়ুন