Skip to main content

বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে গৃহীত পদক্ষেপ আলোচনা কর

মেফতাহুল তম্মীএকাডেমিক গবেষক ও লেখক

ভূমিকা

স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যকে একটি অন্যতম প্রধান আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে মোকাবেলা করে আসছে। কয়েক দশক ধরে সরকার, বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। একসময় 'তলাবিহীন ঝুড়ি' হিসেবে আখ্যায়িত দেশটি আজ বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাসের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে পরিকল্পিত নীতি, বিভিন্নমুখী কর্মসূচি এবং তৃণমূল পর্যায়ে তার বাস্তবায়ন।

বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের পদক্ষেপগুলো বহুমাত্রিক, যা কেবল আয় বৃদ্ধিকেই লক্ষ্য করে না, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক সুরক্ষার মতো মানব উন্নয়নের অন্যান্য দিকগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। সরকারি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সুনির্দিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি, ক্ষুদ্রঋণের বিস্তার এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোগ—এই সবকিছুই সম্মিলিতভাবে দারিদ্র্যের হার কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এই আলোচনায় বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে গৃহীত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, সেগুলোর কার্যকারিতা এবং ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারি পদক্ষেপ

বাংলাদেশ সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণকে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে বিভিন্ন সময়ে নানা কৌশল ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপগুলো মূলত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, খাতভিত্তিক উন্নয়ন এবং সরাসরি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে প্রণীত হয়েছে।

১. পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনা

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার দারিদ্র্য বিমোচনকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে আসছে। প্রতিটি পরিকল্পনায় দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় এবং সেই অনুযায়ী খাতভিত্তিক বিনিয়োগ ও নীতি প্রণয়ন করা হয়। সাম্প্রতিককালে, সরকার প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (যেমন: প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২০২১) এবং 'রূপকল্প ২০৪১' এর মতো দীর্ঘমেয়াদী কৌশল গ্রহণ করেছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা এবং দারিদ্র্যকে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই দেওয়া। এই পরিকল্পনাগুলোতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বৈষম্য হ্রাসের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

২. অবকাঠামোগত উন্নয়ন

সরকার গ্রামীণ ও شہری অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সম্প্রসারণ গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছে। এর ফলে কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ সহজ হয়েছে, অকৃষি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোকে জাতীয় অর্থনীতির মূলধারার সাথে সংযুক্ত করতে সাহায্য করেছে।

৩. কৃষি খাতের উন্নয়ন

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষি এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ এর উপর নির্ভরশীল। সরকার উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ, সার এবং সেচ ব্যবস্থায় ভর্তুকি প্রদান, কৃষিঋণ সহজলভ্য করা এবং কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। এর ফলে দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি গ্রামীণ দারিদ্র্য কমাতে সহায়ক হয়েছে।

৪. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ

দারিদ্র্য দূরীকরণের অন্যতম টেকসই উপায় হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন। সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ, বিনামূল্যে বই বিতরণ, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি এবং কারিগরি শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। স্বাস্থ্য খাতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, টিকাদান কর্মসূচি এবং মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজতর হয়েছে, যা তাদের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং চিকিৎসাখাতে ব্যয় কমাতে সাহায্য করেছে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি (Social Safety Net Programmes)

সরকার দারিদ্র্যপীড়িত এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছে। এই কর্মসূচিগুলো সরাসরি দরিদ্র মানুষের কাছে নগদ অর্থ বা খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

১. নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচি

  • বয়স্ক ভাতা: ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর থেকে চালু হওয়া এই কর্মসূচির আওতায় দেশের দরিদ্র বয়স্ক নাগরিকদের মাসিক ভাতা প্রদান করা হয়।
  • বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা: ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছর থেকে দরিদ্র বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও নির্যাতিতা নারীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
  • অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা: দেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে এই ভাতা প্রদান করা হয়।
  • মাতৃত্বকালীন ভাতা: দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই ভাতা চালু করা হয়েছে।

২. খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি

  • ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি): এই কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্র নারীদের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ): দুর্যোগকালীন এবং উৎসবের সময়ে দরিদ্র পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
  • খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস): নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে চাল ও আটা বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়, যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক।

৩. কর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচি

  • কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা): গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্পে দরিদ্র শ্রমিকদের কাজের বিনিময়ে খাদ্যশস্য প্রদান করা হয়।
  • কর্মসৃজন কর্মসূচি (EGPP): বছরের নির্দিষ্ট সময়ে (যখন কৃষি কাজ কম থাকে) অতিদরিদ্রদের জন্য স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়।

এই কর্মসূচিগুলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর तात्ক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করে।

ক্ষুদ্রঋণ ও বেসরকারি সংস্থার (NGO) ভূমিকা

বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওগুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এক নীরব বিপ্লব সাধিত হয়েছে।

১. ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম

গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক এবং আশা-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষুদ্রঋণকে একটি কার্যকর দারিদ্র্য বিমোচন হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে দরিদ্র, বিশেষ করে নারীদের, ছোট ব্যবসা বা আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড শুরু করতে সহায়তা করে। ক্ষুদ্রঋণ গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন, পরিবারের আয় বৃদ্ধি এবং সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

২. ব্র্যাকের সমন্বিত উন্নয়ন মডেল

ব্র্যাক বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, যা দারিদ্র্য দূরীকরণে একটি সমন্বিত মডেল অনুসরণ করে। এটি কেবল ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে না, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনি সহায়তা এবং দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে। ব্র্যাকের 'আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন মডেল' (অতিদরিদ্রদের জন্য টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচি) বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে, যা অতিদরিদ্র পরিবারগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পদ হস্তান্তর, প্রশিক্ষণ এবং নিবিড় সহায়তার মাধ্যমে টেকসই জীবিকা অর্জনে সহায়তা করে।

৩. অন্যান্য এনজিওর কার্যক্রম

দেশের অসংখ্য ছোট-বড় এনজিও তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, নারীর অধিকার এবং পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে দারিদ্র্যের বহুমাত্রিক দিকগুলো মোকাবেলায় সরকারকে সহায়তা করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায়ও এনজিওগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জ

সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে چشمگیر সাফল্য অর্জন করেছে। ১৯৯১ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৪.২ শতাংশ, ২০১৬-১৭ সালে তা কমে ১৩.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে (আন্তর্জাতিক $১.৯০ দারিদ্র্যসীমা অনুযায়ী)। शिशु ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে, গড় আয়ু বেড়েছে এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে এখনো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। এর মধ্যে রয়েছে:

  • আয় বৈষম্য: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছাচ্ছে না, যা ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য বাড়াচ্ছে।

  • জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন—বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধি—উপকূলীয় এবং চরাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।

  • মানসম্মত শিক্ষা ও কর্মসংস্থান: দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনীতির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য মানসম্মত শিক্ষা এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

  • নগর দারিদ্র্য: গ্রামীণ এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ শহরে আসার ফলে নগরীতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, যা নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

  • সুশাসনের অভাব: বিভিন্ন কর্মসূচিতে দুর্নীতি এবং স্বচ্ছতার অভাবের কারণে অনেক সময় প্রকৃত দরিদ্ররা সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়।

উপসংহার

বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূরীকরণের যাত্রা নিঃসন্দেহে একটি সফলতার গল্প। সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। পরিকল্পিত নীতি, ব্যাপক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং ক্ষুদ্রঋণের মতো উদ্ভাবনী পদ্ধতির সফল বাস্তবায়ন এই অর্জনকে সম্ভব করেছে।

তবে অর্জিত সাফল্য ধরে রেখে দারিদ্র্যকে পুরোপুরি নির্মূল করতে হলে চলমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা জরুরি। আয় বৈষম্য হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা, মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সুশাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন মডেল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যদি এই চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবেলা করা যায়, তবে 'রূপকল্প ২০৪১' অনুযায়ী একটি দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

একই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট

জনসংখ্যা কীভাবে পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি করে আলোচনা কর।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাপ বাড়ে, যার ফলে বায়ু, পানি ও মাটি দূষিত হয়। এই আলোচনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি কীভাবে নগরায়ন, শিল্পায়ন, বনভূমি উজাড় এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূষণ সৃষ্টি করে, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তার বিশদ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের প্রভাব ও তা নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।

পড়ুন

জীববৈচিত্র সংরক্ষণে বাংলাদেশের ভূমিকা আলোচনা কর।

বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, আইন প্রণয়ন, সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক সনদের আলোকে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, যেমন জাতীয় জীববৈচিত্র্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সুন্দরবনসহ বিভিন্ন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি দেশের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং দূষণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

পড়ুন