Skip to main content

সাঁওতাল নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জীবনধারা আলোচনা কর

মেফতাহুল তম্মীএকাডেমিক গবেষক ও লেখক

ভূমিকা

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীন আদিবাসী জনগোষ্ঠী হলো সাঁওতাল। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষ করে রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর এবং বগুড়া জেলায় তাদের основное বসবাস। সাঁওতালরা অস্ট্রিক ভাষাভাষী এবং আদি-অস্ট্রেলীয় (প্রোটো-অস্ট্রালয়েড) জনগোষ্ঠীর বংশধর হিসেবে পরিচিত। নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যে এরা মঙ্গোলীয় গোত্রের নয়; বরং তাদের গাঢ় ত্বকের রঙ, চ্যাপ্টা নাক, পুরু ঠোঁট এবং কোঁকড়ানো চুল তাদের অস্ট্রেশীয় উৎসকে নির্দেশ করে। কৃষি সংস্কৃতি ও উৎপাদন ব্যবস্থার জনক হিসেবে স্বীকৃত এই জনগোষ্ঠী হাজার বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে এক স্বতন্ত্র জীবনধারা ও সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। তাদের জীবনধারা, সামাজিক কাঠামো, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, ধর্মবিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

সাঁওতালদের ঐতিহাসিক পটভূমি ও উৎপত্তি

সাঁওতালদের আদি জন্মভূমি ঠিক কোথায়, তা নিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্যের অভাব থাকলেও গবেষকদের মতে, তারা প্রোটো-অস্ট্রোলয়েড জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ধারণা করা হয়, তারা ভারতীয় উপমহাদেশে দ্রাবিড়দেরও আগে অস্ট্রেলিয়া এবং তৎসংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে আগমন করেছিল। তাদের জাতিগত নাম 'হর হোপন', যার অর্থ "মানবজাতির সন্তান"। 'সাঁওতাল' নামটি সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর অঞ্চলের 'সাওন্ট' এলাকার বাসিন্দাদের বোঝাতে ব্যবহৃত একটি বহিরাগত শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে সাঁওতালদের জীবনধারায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের পর জমিদার, মহাজন এবং ব্রিটিশ কর্মচারীদের শোষণ ও অত্যাচারে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এর প্রতিবাদে ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে সাঁওতালরা এক ঐতিহাসিক বিদ্রোহ শুরু করে, যা 'সাঁওতাল বিদ্রোহ' নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং তাদের দেশীয় দালালদের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রাম।

সামাজিক কাঠামো

সাঁওতাল সমাজ একটি সুসংগঠিত এবং ঐতিহ্যবাহী কাঠামোর উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। তাদের সামাজিক জীবন পরিবার, গোত্র এবং গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।

১. পরিবার ব্যবস্থা

সাঁওতাল সমাজ মূলত পিতৃতান্ত্রিক। পিতার পরিচয়েই সন্তানের বংশপরিচয় নির্ধারিত হয় এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকারও পুরুষতান্ত্রিক প্রথা অনুযায়ী বণ্টিত হয়। সম্পত্তিতে পুত্রদের সমান অধিকার থাকলেও মেয়েদের কোনো অধিকার নেই। তবে পিতা ইচ্ছা করলে কন্যাকে কিছু সম্পত্তি বা গাভী দিতে পারেন। পুত্রহীন ব্যক্তির সম্পত্তি তার ভাইয়েরা লাভ করে। বিবাহের পর নারীরা স্বামীর গোত্রে এবং বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।

২. গোত্র বিভাগ

সাঁওতাল সমাজ মূলত বারোটি গোত্রে বা 'পারিস'-এ বিভক্ত। বিশ্বাস করা হয় যে, তাদের আদি মানব-মানবী পিলচু হাড়াম ও পিলচু বুডহির সাত জোড়া সন্তান থেকে প্রথমে সাতটি গোত্রের উদ্ভব হয় এবং পরে আরও পাঁচটি গোত্র যুক্ত হয়। এই গোত্রগুলো হলো: হাঁসদা, মুরমু, কিস্কু, হেমব্রম, মার্ডি, সরেন, টুডু, বাস্কে, বেসরা, পাঁউরিয়া, চঁড়ে এবং বেদেয়া। সাঁওতালদের মধ্যে টোটেম বিশ্বাস প্রচলিত, যেখানে প্রতিটি গোত্র কোনো না কোনো প্রাণী, উদ্ভিদ বা প্রাকৃতিক বস্তুর নামে পরিচিত। যেমন, হাঁসদা গোত্রের উৎপত্তি হাঁস থেকে বলে বিশ্বাস করায় তাদের জন্য হাঁস খাওয়া নিষিদ্ধ। একই গোত্রের মধ্যে বিবাহ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, যা তাদের সামাজিক শৃঙ্খলার অন্যতম ভিত্তি।

৩. বিবাহ প্রথা

সাঁওতালি ভাষায় বিবাহকে 'বাপলা' বলা হয়। তাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের বিবাহ প্রথা প্রচলিত আছে, যেমন: আসলি বিবাহ (আলোচনার মাধ্যমে), রাজারাজি (প্রেমের বিবাহ) এবং হুরকাটারা (জোরপূর্বক বিবাহ)। সাধারণত যুবকরা উনিশ-বিশ এবং যুবতীরা পনেরো-ষোলো বছর বয়সে বিবাহ করে। বিবাহে কনেকে পণ দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে, তবে এর পরিমাণ সামান্য। সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ এবং বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তদের पुनर्विवाहের অধিকার স্বীকৃত।

৪. গ্রাম পঞ্চায়েত

সাঁওতাল সমাজের মূল ভিত্তি হলো তাদের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম-পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা 'মঁড়ে হড়' বা পঞ্চজন দ্বারা পরিচালিত হয়। এর সদস্যরা হলেন:

  • মাঞ্জহি হারাম: গ্রাম প্রধান, যিনি গ্রামের প্রশাসনিক, বিচারিক ও সামাজিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু।
  • পারানিক: সহকারী গ্রাম প্রধান।
  • জগমাঝি: গ্রামের নৈতিক অভিভাবক।
  • জগপারানিক: সহকারী নৈতিক অভিভাবক।
  • গোডেৎ: বার্তা বাহক, যিনি মাঞ্জহির নির্দেশাবলী গ্রামে পৌঁছে দেন।

এছাড়াও 'নায়কে' বা পুরোহিত গ্রামের ধর্মীয় কার্যাবলী সম্পাদন করেন। এই পঞ্চায়েত গ্রামের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অর্থনৈতিক ব্যবস্থা

সাঁওতালদের অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর এবং প্রকৃতি-কেন্দ্রিক। ঐতিহ্যগতভাবে তারা জমি ও অরণ্যের উপর ভিত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।

১. কৃষি কাজ

সাঁওতালদের প্রধান জীবিকা কৃষি। তারা ধান, সরিষা, তামাক, মরিচ, তিল এবং ইক্ষুর মতো বিভিন্ন ফসল চাষ করে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে তারা মূলত কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে, যেখানে নারী-পুরুষ উভয়েই মাঠে কাজ করে। সাঁওতালদেরকে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার অন্যতম জনক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

২. শিকার ও সংগ্রহ

ঐতিহ্যগতভাবে সাঁওতালরা শিকার এবং বন থেকে খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহের উপর নির্ভরশীল ছিল। শিকার তাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা তাদের সাহসিকতা ও দক্ষতার প্রতীক। তারা বন থেকে ফলমূল, শাকসবজি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করে।

৩. অন্যান্য পেশা

কৃষিকাজের পাশাপাশি সাঁওতালরা বাঁশ, বেত ও শালপাতা দিয়ে মাদুর, ঝুড়ি, ঝাড়ু এবং অন্যান্য হস্তশিল্প তৈরি করে। এগুলো তারা নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি স্থানীয় হাটে বিক্রি করে বাড়তি আয় করে। আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের কারণে দারিদ্র্য তাদের নিত্যসঙ্গী হওয়ায় বর্তমানে অনেক সাঁওতাল দিনমজুর হিসেবে বা অন্যান্য পেশায় যুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছে।

ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠান

সাঁওতালদের ধর্মবিশ্বাস মূলত প্রকৃতি-কেন্দ্রিক এবং সর্বপ্রাণবাদী। তারা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে 'ঠাকুরজিউ'-কে বিশ্বাস করলেও তাদের প্রধান উপাস্য হলেন সূর্য দেবতা 'সিং বোঙ্গা' এবং পর্বত দেবতা 'মারাং বুরু'। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, 'বোঙ্গা' বা আত্মা মহাবিশ্বের সকল ভালো-মন্দ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও, তারা গৃহদেবতা 'আবে বোঙ্গা' এবং জাহের এরা (মাতৃকা দেবী)-এর পূজা করে।

তাদের কোনো নির্দিষ্ট মন্দির বা উপাসনালয় নেই; গ্রামের প্রান্তে 'জাহের থান' নামে একটি পবিত্র স্থানে তারা পূজা-অর্চনা করে। সাঁওতাল সমাজে বিভিন্ন ধরনের ধর্ম প্রচলিত আছে, যেমন সারি ধরম, সারনা ধরম ইত্যাদি। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সাঁওতাল খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করলেও, ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠান এখনো তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

সাঁওতালদের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। তাদের ভাষা, উৎসব, নাচ-গান, পোশাক এবং খাদ্যাভ্যাস তাদের স্বতন্ত্র পরিচয় বহন করে।

১. ভাষা ও সাহিত্য

সাঁওতালরা সাঁওতালি ভাষায় কথা বলে, যা অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষা পরিবারের অন্তর্গত। তাদের নিজস্ব কোনো বর্ণমালা না থাকলেও, তাদের লোকসাহিত্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। মুখে মুখে প্রচলিত লোককাহিনী, লোকগীতি, ধাঁধা ও প্রবাদ তাদের সংস্কৃতিকে জীবন্ত রেখেছে।

২. উৎসব

সাঁওতালরা অত্যন্ত উৎসবপ্রিয় জাতি; তাদের "বারো মাসে তেরো পার্বণ" পালিত হয়। তাদের প্রধান উৎসবগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • সোহরাই: এটি সাঁওতালদের সবচেয়ে বড় উৎসব, যা পৌষ সংক্রান্তির সময় ফসল তোলার পর পালিত হয়। এই উৎসবে ফসলের দেবতাকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং গৃহপালিত পশুদের পূজা করা হয়।
  • বাহা: বসন্তকালে ফুল ফোটার উৎসব হলো বাহা। প্রকৃতির নতুন জীবনকে স্বাগত জানাতে নারী-পুরুষেরা ফুল দিয়ে সেজে নাচ-গানে মেতে ওঠে।
  • শিকার উৎসব: এটি তাদের ঐতিহ্যবাহী একটি উৎসব যা শীতকালে পালন করা হয়।

৩. নাচ ও গান

নাচ এবং গান সাঁওতাল সংস্কৃতির প্রাণ। তাদের গানগুলো মূলত প্রকৃতি, প্রেম, কৃষি এবং জীবনের আনন্দ-বেদনাকে কেন্দ্র করে রচিত। তুমডাক, তামাক (ঢোল), বাঁশি, এবং 'বানাম' (বেহালা-সদৃশ বাদ্যযন্ত্র) ব্যবহার করে তারা সঙ্গীত পরিবেশন করে। নারীরা সারিবদ্ধভাবে হাত ধরে নাচে, যা 'ঝুমুর নাচ' নামে পরিচিত। এছাড়াও বিবাহ অনুষ্ঠানে 'দোন' ও 'ঝিকা' নাচের প্রচলন রয়েছে।

৪. বাসস্থান ও পোশাক

সাঁওতালরা সাধারণত মাটির তৈরি ঘরে বাস করে, যার দেয়ালে খড়ের ছাউনি থাকে। তারা তাদের ঘরবাড়ি খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে এবং নারীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য ও আলপনা আঁকেন। সাঁওতাল নারীরা 'পাঁচি' নামক এক ধরনের শাড়ি পরেন এবং পুরুষরা ধুতি বা লুঙ্গি ব্যবহার করেন। তারা অলঙ্কারপ্রিয়; নারীরা হাতে ও গলায় পিতল বা কাঁসার গহনা পরেন এবং পুরুষরাও অনেক সময় কানে দুল বা গলায় মালা পরেন।

৫. খাদ্যাভ্যাস

ভাত সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য। এছাড়াও তারা মাছ, কাঁকড়া, শুকর, মুরগি এবং খরগোশের মাংস খেতে পছন্দ করে।

উপসংহার

সাঁওতাল নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশের এক সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতির ধারক। তাদের সুসংগঠিত সামাজিক কাঠামো, প্রকৃতি-নির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সর্বপ্রাণবাদী ধর্মবিশ্বাস এবং উৎসবমুখর সংস্কৃতি তাদের জীবনধারাকে এক স্বতন্ত্র রূপ দিয়েছে। ঐতিহাসিক সংগ্রাম, বিশেষ করে ব্রিটিশবিরোধী সাঁওতাল বিদ্রোহ, তাদের সংগ্রামী চেতনার পরিচয় বহন করে। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ফলে তাদের ঐতিহ্যবাহী জীবনধারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, তবুও সাঁওতালরা তাদের মূল সংস্কৃতি ও প্রথাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সাঁওতালদের জীবনধারা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং তাদের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

একই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট

বাংলাদেশের জনসংখ্যা কাঠামোর বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা কাঠামোর বৈশিষ্ট্যসমূহ সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। এই আলোচনায় জনসংখ্যার আকার, ঘনত্ব, বয়স কাঠামো, লিঙ্গ অনুপাত, নগরায়ন, শিক্ষার হার, স্বাস্থ্য সূচক, কর্মসংস্থান, এবং পারিবারিক কাঠামোর মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।

পড়ুন

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা কর।

স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ একটি বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা, নগরায়ন, এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সের প্রভাবে এই শ্রেণির উদ্ভব ও সম্প্রসারণ ঘটেছে। এই শ্রেণি বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। নতুন আকাঙ্ক্ষা, ভোগ প্রবণতা এবং রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরিতে এর প্রভাব অপরিসীম। তবে, মুদ্রাস্ফীতি, আয়ের অসামঞ্জস্যতা এবং গুণগত শিক্ষার অভাবের মতো চ্যালেঞ্জগুলোও এই শ্রেণির বিকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের সংকট ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।

পড়ুন