Skip to main content

ভাষা আন্দোলন থেকে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলন কীভাবে স্বাধীনতার পথকে প্রশস্ত করেছিল, তা বিস্তারিত আলোচনা কর

মেফতাহুল তম্মীএকাডেমিক গবেষক ও লেখক

ভূমিকা

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই এর দুটি অংশের মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য প্রকট হতে শুরু করে। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্বাঞ্চলের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশ) জনগণের ওপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালায়। এই শোষণ ও বঞ্চনার প্রেক্ষাপটে বাঙালি জাতি নিজেদের অধিকার আদায়ে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন গড়ে তোলে।

ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলন ছিল স্বাধীনতার পথে এক একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই আন্দোলনগুলো শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনো দাবি আদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এগুলো বাঙালির মধ্যে এক নতুন জাতীয়তাবাদী চেতনার জন্ম দেয় এবং ক্রমান্বয়ে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে তীব্র করে তোলে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়কালে সংঘটিত প্রতিটি আন্দোলনই ছিল স্বাধীনতার সোপান, যা বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গিয়েছিল।

ভাষা আন্দোলন (১৯৫২): বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি স্থাপন

স্বাধীনতার পথে প্রথম বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। এটি শুধু ভাষার অধিকার রক্ষার সংগ্রাম ছিল না, বরং এটি ছিল বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার এক আপোসহীন লড়াই।

১. সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ১৯৪৮ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা দেন, "উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা"। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এর মাধ্যমে বাঙালিরা প্রথমবারের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে পশ্চিমা শাসকদের সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।

২. বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ

ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষের মূল কেন্দ্রবিন্দু। ধর্মীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে ভাষা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে এক নতুন অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্ম হয়। "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি" গানটি বাঙালির চেতনায় এক নতুন মাত্রা যোগ করে এবং জাতিগত ঐক্যের প্রতীক হয়ে ওঠে। এই আন্দোলনই প্রমাণ করে যে, বাঙালি একটি স্বতন্ত্র জাতি এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে।

৩. স্বাধিকার আন্দোলনের সূচনা

ভাষা আন্দোলনের সাফল্য বাঙালি জাতিকে তাদের অধিকার আদায়ে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এই আন্দোলন প্রমাণ করে যে, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে যেকোনো অন্যায্য সিদ্ধান্তকে প্রতিহত করা সম্ভব। এটি পরবর্তী সকল রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে এবং স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার পথে যাত্রার ভিত্তি রচনা করে।

যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন (১৯৫৪): গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার বিজয়

১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন ছিল পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এটি ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম গণতান্ত্রিক বিজয়।

১. স্বৈরাচারী মুসলিম লীগ শাসনের বিরুদ্ধে গণরায়

ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির মনে যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি হয়েছিল, তার প্রতিফলন ঘটে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে। শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট ২১-দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এই ২১-দফার মধ্যে ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা, পূর্ব বাংলার পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন এবং সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান।

২. রাজনৈতিক শক্তির উত্থান

নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে ২২৩টি আসন পেয়ে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে, অন্যদিকে মুসলিম লীগ পায় মাত্র ৯টি আসন। এই ফলাফল ছিল মুসলিম লীগের স্বৈরাচারী ও বৈষম্যমূলক শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের সুস্পষ্ট রায়। এর মাধ্যমে পূর্ব বাংলায় নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটে, যা বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করে।

৩. ষড়যন্ত্র ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা

যুক্তফ্রন্টের বিজয় পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী মেনে নিতে পারেনি। মাত্র ৫৬ দিনের মাথায় কেন্দ্রীয় সরকার ষড়যন্ত্র করে যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করে এবং গভর্নরের শাসন জারি করে। এই ঘটনা বাঙালির মনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয় এবং তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, গণতান্ত্রিক উপায়েও অধিকার আদায় সম্ভব নয়। এটি তাদের স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে আরও জোরালো করে তোলে।

শিক্ষা আন্দোলন (১৯৬২): ছাত্র সমাজের প্রতিরোধ

আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। শরীফ কমিশনের প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ এই আন্দোলন গড়ে তোলে।

১. বৈষম্যমূলক শিক্ষানীতির প্রতিবাদ

শরীফ শিক্ষা কমিশন প্রণীত শিক্ষানীতিতে উচ্চশিক্ষাকে ব্যয়বহুল এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া, তিন বছরের ডিগ্রি কোর্স চালু এবং ইংরেজি ও উর্দুকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এই নীতিকে পূর্ব বাংলার ছাত্রসমাজ শিক্ষা সংকোচনের একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখে এবং এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে।

২. সামরিক শাসনবিরোধী চেতনার বিকাশ

এই আন্দোলন শুধুমাত্র শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছিল না, এটি আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধেও একটি বড় প্রতিবাদ ছিল। ছাত্ররা স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামে। ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে ওয়াজিউল্লাহ, বাবুল, মোস্তফাসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ড আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তোলে এবং সামরিক শাসনবিরোধী চেতনাকে শক্তিশালী করে।

৩. গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পুনরুজ্জীবন

এই আন্দোলনের ফলে আইয়ুব সরকার শরীফ কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন স্থগিত করতে বাধ্য হয়। এটি ছিল ছাত্র সমাজের একটি বড় বিজয়, যা দেশের স্থবির রাজনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে। এই আন্দোলনই পরবর্তীকালে আইয়ুববিরোধী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ প্রশস্ত করে।

ছয় দফা আন্দোলন (১৯৬৬): বাঙালির মুক্তির সনদ

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্থাপিত ছয় দফা কর্মসূচি ছিল বাঙালির স্বায়ত্তশাসন ও অধিকার আদায়ের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা। এটিকে বাঙালির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনা কার্টা হিসেবে অভিহিত করা হয়।

১. পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবি

ছয় দফার মূল ভিত্তি ছিল ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব। এর মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দাবি করা হয়, যেখানে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয় ছাড়া বাকি সব ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে। এতে পৃথক মুদ্রা ব্যবস্থা, রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা এবং প্যারামিলিটারি বাহিনী গঠনের দাবি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

২. অর্থনৈতিক মুক্তির রূপরেখা

পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পূর্ব বাংলা شدید অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়েছিল। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ পূর্ব বাংলা থেকে অর্জিত হলেও উন্নয়নের বরাদ্দ ছিল খুবই সামান্য। ছয় দফা ছিল এই অর্থনৈতিক শোষণ থেকে মুক্তির একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা। এটি বাঙালির অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিকে জোরালোভাবে তুলে ধরে।

৩. জাতীয়তাবাদী চেতনার চূড়ান্ত বিকাশ

ছয় দফা ঘোষণার পর আইয়ুব সরকার একে "বিচ্ছিন্নতাবাদী" কর্মসূচি হিসেবে আখ্যা দেয় এবং বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কারাগারে প্রেরণ করে। এর প্রতিবাদে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন দেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। হরতালে পুলিশ ও ইপিআরের গুলিতে মনু মিয়াসহ ১১ জন নিহত হন। এই ঘটনা ছয় দফার প্রতি জনগণের সমর্থনকে আরও বাড়িয়ে তোলে এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৮-৬৯)

ছয় দফা আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে এবং বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলাই শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য বুমেরাং হয়।

১. আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা

১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ভারতের সহায়তায় সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছিল। এই মামলা দায়েরের মূল উদ্দেশ্য ছিল ছয় দফা আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়া এবং বাঙালি নেতৃত্বকে ধ্বংস করা।

২. ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান

এই মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে বাংলার ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তাদের ১১-দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে, যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার পূর্ণ সমর্থন ছিল। আন্দোলন একসময় গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। "জেলের তালা ভাঙবো, শেখ মুজিবকে আনবো" স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সারাদেশ। আন্দোলনের তীব্রতায় ভীত হয়ে আইয়ুব সরকার ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা প্রত্যাহার করতে এবং বঙ্গবন্ধুসহ সকল রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।

৩. স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত ধাপ

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বাধীনতার পথে একটি চূড়ান্ত বিজয়। এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তোফায়েল আহমেদ তাকে "বঙ্গবন্ধু" উপাধিতে ভূষিত করেন। এই গণঅভ্যুত্থান আইয়ুব খানের পতন ঘটায় এবং পাকিস্তানের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ বাঙালিদের হাতে আসার সম্ভাবনা তৈরি করে, যা ৭০-এর নির্বাচন এবং পরিশেষে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার পথকে প্রশস্ত করে।

উপসংহার

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলন ছিল একটি ধারাবাহিক সংগ্রামের অংশ। ভাষা আন্দোলন বাঙালির মনে যে জাতীয়তাবাদী চেতনার জন্ম দিয়েছিল, তা পরবর্তী আন্দোলনগুলোর মাধ্যমে বিকশিত ও শক্তিশালী হয়েছে। যুক্তফ্রন্টের বিজয় গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়েছে, শিক্ষা আন্দোলন স্বৈরাচারবিরোধী মনোভাবকে দৃঢ় করেছে এবং ছয় দফা আন্দোলন পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে মূর্ত করে তুলেছে।

সর্বশেষ, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সকল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। প্রতিটি আন্দোলনই পূর্ববর্তী আন্দোলনের ভিত্তি রচনা করেছে এবং চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে জাতিকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। এই সম্মিলিত সংগ্রামের পথ ধরেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ সুসংহত হয়েছে এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

একই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট

খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামল (১৯৯১-৯৬) এবং শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলের (১৯৯৬-২০০১) একটি তুলনামূলক নীতি ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন কর।

খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামল (১৯৯১-৯৬) ও শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলের (১৯৯৬-২০০১) নীতি ও কার্যক্রমের তুলনামূলক মূল্যায়ন। এই নিবন্ধে অর্থনৈতিক সংস্কার, বৈদেশিক নীতি, সামাজিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

পড়ুন

The main challenge of democracy in Bangladesh is not the holding of elections, but the establishment of democratic institutions and culture. – এই উক্তিটির আলোকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মূল প্রতিবন্ধকতাসমূহ (যেমন: রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা, দুর্বল সংসদ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা) আলোচনা কর।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের প্রধান প্রতিবন্ধকতাসমূহ বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা, দুর্বল সংসদ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাব, এবং অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা কীভাবে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে বাধাগ্রস্ত করছে তা এই লেখায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

পড়ুন