অনার্স ২য় বর্ষ
উপ-বিভাগসমূহ
সকল পোস্ট
এই বিভাগের পূর্ণাঙ্গ সংগ্রহ
সামাজিক সুবিচার প্রসঙ্গে আলোচনা কর।
সামাজিক সুবিচার হলো একটি সমাজের মধ্যে সম্পদ, সুযোগ এবং সুবিধার ন্যায্য বণ্টন ব্যবস্থা। এই আলোচনায় সামাজিক সুবিচারের ধারণা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, বিভিন্ন দার্শনিকের দৃষ্টিভঙ্গি, এর গুরুত্ব এবং আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় এটি প্রতিষ্ঠার উপায় ও চ্যালেঞ্জসমূহ বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্লেটো, অ্যারিস্টটল এবং জন রলসের মতো চিন্তাবিদদের তত্ত্বের আলোকে সামাজিক সুবিচারের বহুমাত্রিক দিক উন্মোচন করা হয়েছে, যা একটি শোষণমুক্ত ও সাম্যভিত্তিক সমাজ গঠনে অপরিহার্য।
সামাজিকীকরণে পরিবার ও ধর্মের ভূমিকা আলোচনা কর।
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবার কীভাবে শিশুর ব্যক্তিত্ব, ভাষা, মূল্যবোধ ও আচরণ গঠন করে এবং ধর্ম কীভাবে নৈতিকতা, সামাজিক সংহতি ও জীবনের উদ্দেশ্য নির্ধারণে প্রভাব ফেলে, তার বিশদ আলোচনা। এই বিষয়বস্তুটি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা কর।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ একটি বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা, নগরায়ন, এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সের প্রভাবে এই শ্রেণির উদ্ভব ও সম্প্রসারণ ঘটেছে। এই শ্রেণি বাংলাদেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। নতুন আকাঙ্ক্ষা, ভোগ প্রবণতা এবং রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরিতে এর প্রভাব অপরিসীম। তবে, মুদ্রাস্ফীতি, আয়ের অসামঞ্জস্যতা এবং গুণগত শিক্ষার অভাবের মতো চ্যালেঞ্জগুলোও এই শ্রেণির বিকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের সংকট ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।
১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের কারণ, ঘটনাবলী ও গুরুত্ব আলোচনা কর।
১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন তারিখে সংঘটিত পলাশীর যুদ্ধ বাংলার ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। এই আলোচনার মাধ্যমে পলাশীর যুদ্ধের পেছনের কারণ, মূল ঘটনাবলী, নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং এর সুদূরপ্রসারী গুরুত্ব ও ফলাফল বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, অর্থনৈতিক সংঘাত এবং বিশ্বাসঘাতকতার ফলে কীভাবে বাংলার স্বাধীনতার অবসান ঘটে এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়, তা এখানে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অনার্স পর্যায়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য এই আলোচনাটি বিশেষভাবে উপযোগী।
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের কারণ, প্রকৃতি ও গুরুত্ব আলোচনা কর।
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের বিরুদ্ধে একটি বিশাল সশস্ত্র অভ্যুত্থান। এই আলোচনায় সিপাহী বিদ্রোহের পেছনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং সামরিক কারণগুলো বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, এই বিদ্রোহের প্রকৃতি, অর্থাৎ এটি কি নিছক সিপাহী বিদ্রোহ ছিল নাকি ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের বিভিন্ন মতামত তুলে ধরা হয়েছে। সবশেষে, ভারতীয় উপমহাদেশে এই বিদ্রোহের সুদূরপ্রসারী গুরুত্ব ও ফলাফল, যেমন কোম্পানি শাসনের অবসান এবং ব্রিটিশ রাজের প্রত্যক্ষ শাসন প্রতিষ্ঠা, নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ ও ফলাফল আলোচনা কর।
১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ রদ ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই নিবন্ধে বঙ্গভঙ্গ রদের পেছনের বহুবিধ কারণ—যেমন তীব্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলনের অর্থনৈতিক চাপ, এবং ব্রিটিশদের 'ভাগ করো ও শাসন করো' নীতির কৌশলগত পরিবর্তন—এবং এর সুদূরপ্রসারী ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। রদের ফলে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতি, মুসলিম লীগের উত্থান এবং ভারতের রাজধানী দিল্লিতে স্থানান্তরসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তনগুলো এসেছিল, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির আত্মপরিচয়, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। এই আর্টিকেলে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি, এর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্ব এবং সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।