বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনে গৃহীত সরকারী কর্মসূচিসমূহ আলোচনা কর।
ভূমিকা
স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যকে একটি অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে মোকাবেলা করে আসছে। দেশের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যসীমার উপরে তুলে এনে তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটানো সরকারের অন্যতম সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে বহুমুখী পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দারিদ্র্য কোন একক সমস্যা নয়, বরং এর সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তাসহ নানা বিষয় জড়িত। তাই সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলোও বহুমাত্রিক।
এই প্রেক্ষাপটে, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য বাংলাদেশ সরকার মূলত দুটি প্রধান কৌশল অবলম্বন করে আসছে। প্রথমত, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী (Social Safety Net) কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের অতিদরিদ্র, অসহায় ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করা। দ্বিতীয়ত, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয়বর্ধক কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ক্ষমতায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নকেও দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারের এই সমন্বিত উদ্যোগসমূহের ফলেই গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এখানে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে গৃহীত প্রধান প্রধান সরকারী কর্মসূচিসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির প্রকারভেদ
বাংলাদেশ সরকার দারিদ্র্য মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মাধ্যমে নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এই কর্মসূচিগুলোকে তাদের প্রকৃতি ও লক্ষ্য অনুযায়ী কয়েকটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। এর ফলে কর্মসূচিগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
১. সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি
এই ধরনের কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য হলো সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, অসহায় এবং অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সরাসরি আর্থিক বা খাদ্য সহায়তা প্রদান করে তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত প্রধান কর্মসূচিগুলো হলো:
-
বয়স্ক ভাতা: দেশের প্রবীণ ও উপার্জনহীন ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা প্রদান।
-
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা দুঃস্থ মহিলা ভাতা: স্বামীহারা বা স্বামী পরিত্যক্তা দরিদ্র নারীদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদান।
-
অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনধারণে সহায়তা প্রদান।
-
ভিজিডি (Vulnerable Group Development): অতিদরিদ্র নারীদের খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা।
-
ভিজিএফ (Vulnerable Group Feeding): দুর্যোগ বা উৎসবের সময় দরিদ্র পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা প্রদান।
২. কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধনমূলক কর্মসূচি
এই ধারার কর্মসূচিগুলোর মূল লক্ষ্য হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের আয়ের পথ তৈরি করা এবং গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো। উল্লেখযোগ্য কর্মসূচিগুলো হলো:
-
অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (EGPP): কর্মহীন মৌসুমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
-
কাজের বিনিময়ে টাকা/খাদ্য (কাবিখা/কাবিতা): গ্রামীণ অবকাঠামো (যেমন রাস্তা, বাঁধ) নির্মাণ ও সংস্কারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
-
টেস্ট রিলিফ (টিআর): ছোট ছোট গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদী কাজের সুযোগ তৈরি করা।
৩. আশ্রয় ও পুনর্বাসন কর্মসূচি
ভূমিহীন, গৃহহীন ও নদীভাঙন কবলিত মানুষদের জন্য নিরাপদ বাসস্থান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য।
-
আশ্রয়ণ প্রকল্প: গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়া।
-
গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প: খাস জমিতে ভূমিহীনদের জন্য গুচ্ছাকারে গ্রাম প্রতিষ্ঠা করে পুনর্বাসন করা।
৪. শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচি
দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভাঙার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে অন্যতম প্রধান উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সংক্রান্ত কর্মসূচিগুলো হলো:
-
প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি: দরিদ্র পরিবারের শিশুদের স্কুলে ধরে রাখার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান।
-
কমিউনিটি ক্লিনিক: গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া।
৫. ক্ষুদ্রঋণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি
দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা এই কর্মসূচির লক্ষ্য।
-
আমার বাড়ি আমার খামার: প্রতিটি বাড়িকে একটি খামারে পরিণত করার মাধ্যমে পারিবারিক কৃষিকে উৎসাহিত করা এবং দারিদ্র্য দূর করা।
-
পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম: গ্রামীণ দরিদ্রদের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান।
উল্লেখযোগ্য সরকারী কর্মসূচিসমূহের বিস্তারিত আলোচনা
বাংলাদেশ সরকার দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে বহুমুখী ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এসব কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা প্রদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। নিচে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি
বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি: ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে এই কর্মসূচিটি চালু হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রবীণ, দুঃস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা। শুরুতে প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হলেও বর্তমানে এর পরিমাণ ও আওতা উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বয়স্কদের মাসিক ভাতার পরিমাণ ৬০০ টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা ৬৫০ টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে লক্ষ লক্ষ প্রবীণ নাগরিক উপকৃত হচ্ছেন।
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা দুঃস্থ মহিলা ভাতা: ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে এই কর্মসূচিটি চালু হয়। এর লক্ষ্য হলো বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা বা নিগৃহীতা দুঃস্থ নারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এই ভাতার মাধ্যমে নারীরা তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং সন্তানদের ভরণপোষণে সহায়তা পান, যা নারীর ক্ষমতায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই কর্মসূচির আওতায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ২৯ লক্ষ জনের জন্য মাসিক ৬৫০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে।
ভিজিডি (Vulnerable Group Development) কর্মসূচি: এটি সরকারের অন্যতম বৃহৎ একটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যা বিশেষভাবে অতিদরিদ্র নারীদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। এই কর্মসূচির আওতায় নারীদের শুধুমাত্র খাদ্য সহায়তা (চাল বা গম) প্রদান করা হয় না, বরং তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আয়বর্ধক দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, সঞ্চয় সৃষ্টিতে উৎসাহ প্রদান এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করা হয়। দুই বছর মেয়াদী এই চক্র শেষে একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পান।
ভিজিএফ (Vulnerable Group Feeding) কর্মসূচি: ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে এই মানবিক সহায়তা কর্মসূচিটি চালু হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বন্যা, খরা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং ঈদ等 ধর্মীয় উৎসবের সময়কালে অতিদরিদ্র পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা। এটি একটি জরুরি ত্রাণ কর্মসূচি হিসেবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধনমূলক কর্মসূচি
অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (EGPP): এটি সরকারের একটি অন্যতম বৃহৎ কর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচি। এর প্রধান লক্ষ্য হলো বছরের যে সময়গুলোতে (সাধারণত ফসল তোলার পর) গ্রামে কাজের অভাব দেখা দেয়, সেই কর্মহীন মৌসুমে অতিদরিদ্র বেকার শ্রমিকদের জন্য স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এই কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো যেমন—রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, খাল খনন ইত্যাদি কাজ করা হয়, যা একদিকে যেমন মানুষের কর্মসংস্থান করে, তেমনি অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৩. আশ্রয় ও পুনর্বাসন কর্মসূচি
আশ্রয়ণ প্রকল্প: "বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না"—এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন এবং তাদের আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা। প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের ২ শতাংশ খাসজমি মালিকানাসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি সেমি-পাকা ঘর প্রদান করা হয়, যার মালিকানা স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের নামে থাকে, যা নারীর ক্ষমতায়নেও ভূমিকা রাখে। এটি শুধুমাত্র একটি আবাসন প্রকল্প নয়, বরং এর মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে একটি সমন্বিত উন্নয়নের মডেল হিসেবে কাজ করছে।
৪. ক্ষুদ্রঋণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচি
আমার বাড়ি আমার খামার: এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ উদ্যোগ, যা ২০০৯ সালে চালু হয়। এই প্রকল্পের দর্শন হলো প্রতিটি বাড়িকে একটি অর্থনৈতিক ইউনিটে পরিণত করা। প্রকল্পের আওতায় গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলোকে সংগঠিত করে গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন করা হয়। সদস্যরা নিয়মিত সঞ্চয় জমা করেন এবং সরকার তাদের সমপরিমাণ অর্থ বোনাস হিসেবে প্রদান করে। এই পুঁজি থেকে সদস্যরা সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে কৃষি, পশুপালন, মৎস্য চাষসহ বিভিন্ন আয়বর্ধক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। বর্তমানে এই প্রকল্পের কার্যক্রম পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের গৃহীত কর্মসূচিগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য এবং ইতিবাচক ফল বয়ে এনেছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে সমাজের অসহায় ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের বাসস্থান নিশ্চিতকরণ এবং কর্মসংস্থানমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে বেকারদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি দেশের দারিদ্র্যের হার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পের মতো কর্মসূচিগুলো প্রান্তিক মানুষের জীবনে সরাসরি ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
তবে এসব কর্মসূচির সাফল্য সত্ত্বেও কিছু চ্যালেঞ্জ এখনও বিদ্যমান। যেমন, সঠিক উপকারভোগী চিহ্নিতকরণে স্বচ্ছতার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং ক্ষেত্রবিশেষে সমন্বয়হীনতা কর্মসূচিগুলোর পূর্ণাঙ্গ সুফল প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি করে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং স্থানীয় সরকারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
সামগ্রিকভাবে, সরকারের এই বহুমাত্রিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টা বাংলাদেশকে একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই কর্মসূচিগুলোর সফল বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকলে এবং নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জন এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন সম্ভব হবে।
সম্পর্কিত পোস্ট
একই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎসসমূহ আলোচনা কর।
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎসসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তার জনগণের কল্যাণে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়, যা মূলত কর রাজস্ব ও কর-বহির্ভূত রাজস্ব থেকে সংগৃহীত হয়। কর রাজস্বের মধ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), আয়কর, এবং আমদানি শুল্ক প্রধান। অন্যদিকে, কর-বহির্ভূত রাজস্বের উৎসগুলো হলো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ, সুদ, প্রশাসনিক ফি, জরিমানা, ভাড়া ও ইজারা এবং টোল। এই আর্টিকেলে সরকারের আয়ের প্রতিটি উৎস, তাদের গুরুত্ব এবং দেশের অর্থনীতিতে এদের ভূমিকা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ প্রদান করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎসসমূহ আলোচনা কর।
বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎসসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তার জনগণের কল্যাণে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়, যা মূলত কর রাজস্ব ও কর-বহির্ভূত রাজস্ব থেকে সংগৃহীত হয়। কর রাজস্বের মধ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), আয়কর, এবং আমদানি শুল্ক প্রধান। অন্যদিকে, কর-বহির্ভূত রাজস্বের উৎসগুলো হলো রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ, সুদ, প্রশাসনিক ফি, জরিমানা, ভাড়া ও ইজারা এবং টোল। এই আর্টিকেলে সরকারের আয়ের প্রতিটি উৎস, তাদের গুরুত্ব এবং দেশের অর্থনীতিতে এদের ভূমিকা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ প্রদান করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।