Skip to main content

১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা মূল্যায়ন কর এই সময়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য, ব্যর্থতা এবং তাদের পারস্পরিক সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ক কীভাবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (যেমন: সংসদ, নির্বাচন কমিশন) দুর্বল করেছে তা বিশ্লেষণ কর

মেফতাহুল তম্মীএকাডেমিক গবেষক ও লেখক

ভূমিকা

১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়কালটি ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি পরীক্ষামূলক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই সময়ে দেশ প্রধানত দুটি বড় রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বারা শাসিত হয়েছে। এই আঠারো বছরে যেমন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা ছিল, তেমনি দলীয় সাফল্য ও ব্যর্থতার চিত্রও ছিল চোখে পড়ার মতো।

তবে এই সময়কালের সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক হলো প্রধান দুই দলের মধ্যে তীব্র সংঘাতপূর্ণ এবং প্রতিহিংসামূলক সম্পর্ক। এই বৈরী সম্পর্ক দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, যেমন - জাতীয় সংসদ, নির্বাচন কমিশন, বিচার ব্যবস্থা এবং এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকেও ধীরে ধীরে দুর্বল করে ফেলে। ফলস্বরূপ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়, যা শেষ পর্যন্ত ২০০৭ সালের এক-এগারোর মতো একটি অসাংবিধানিক শাসনের পথ প্রশস্ত করে।

সুতরাং, ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা মূল্যায়ন করতে হলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতার পাশাপাশি তাদের পারস্পরিক সংঘাতপূর্ণ সম্পর্কের ফলে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা অপরিহার্য।

সংসদীয় গণতন্ত্রের পুনঃযাত্রা (১৯৯১)

স্বৈরশাসনের অবসানের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু হিসেবে প্রশংসিত হয়। নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করে এবং আওয়ামী লীগ প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে।

এই সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ছিল সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করা। এর মাধ্যমে শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, যা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার জন্য একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ ছিল। এই পরিবর্তনটি ছিল জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুনরায় ওয়েস্টমিনিস্টার পদ্ধতির গণতন্ত্রের পথে হাঁটা শুরু করে।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য

১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় থাকা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল, যা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।

১. বিএনপি সরকার (১৯৯১-১৯৯৬)

এই সময়ে বিএনপি সরকার অর্থনৈতিক উদারীকরণ নীতি গ্রহণ করে, যা বেসরকারি খাতের বিকাশে সহায়তা করে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে, বিশেষ করে নতুন রাস্তা ও সেতু নির্মাণে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সময়ে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপও গৃহীত হয়েছিল।

২. আওয়ামী লীগ সরকার (১৯৯৬-২০০১)

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কিছু যুগান্তকারী সাফল্য অর্জিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো:

  • গঙ্গার পানি চুক্তি: ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সাথে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ছিল একটি ঐতিহাসিক কূটনৈতিক সাফল্য।
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি: দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলা পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর জনসংহতি সমিতির সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়।
  • খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন: এই সময়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।
  • বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ: দেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৩. বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার (২০০১-২০০৬)

এই জোট সরকারের আমলেও কিছু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত ছিল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে ভালো ছিল এবং রপ্তানি আয়ও বৃদ্ধি পায়। অবকাঠামোগত কিছু উন্নয়ন প্রকল্পও এ সময়ে গৃহীত হয়েছিল।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যর্থতা এবং পারস্পরিক সংঘাত

সাফল্যের পাশাপাশি এই সময়কালে উভয় সরকারেরই বেশ কিছু ব্যর্থতা ছিল, যা মূলত তাদের পারস্পরিক সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিরই প্রতিফলন।

  • রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও প্রতিহিংসা: এই পুরো সময়কাল জুড়ে দুটি প্রধান দলের মধ্যে ছিল তীব্র প্রতিহিংসার রাজনীতি। এক দল ক্ষমতায় গেলে অন্য দল সংসদ বয়কট, হরতাল, অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পালন করত। বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়ন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং রাজনৈতিক হয়রানি ছিল একটি সাধারণ ঘটনা।
  • দুর্নীতি ও সুশাসনের অভাব: উভয় সরকারের আমলেই দুর্নীতি ব্যাপক আকার ধারণ করে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় স্থান পায়। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দলীয়করণ প্রশাসনকে দুর্বল করে দেয়।
  • আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি: রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং রাজনৈতিক সহিংসতা জনজীবনে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে।

গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলীকরণ

বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যকার সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ক দেশের সদ্য প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী হওয়ার পরিবর্তে ক্রমশ দুর্বল ও অকার্যকর হয়ে পড়ে।

১. জাতীয় সংসদকে অকার্যকর করা

সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হলো জাতীয় সংসদ। কিন্তু ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সংসদ তার কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন করতে পারেনি।

  • সংসদ বয়কট: বিরোধী দল কর্তৃক লাগাতার সংসদ বয়কট একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছিল। ১৯৯৪-৯৬ সময়কালে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ একযোগে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে, যা রাজনৈতিক সংকটকে ঘনীভূত করে। পরবর্তীতে বিএনপি বিরোধী দলে থাকাকালেও একই ধারা অব্যাহত রাখে।
  • গঠনমূলক আলোচনার অভাব: সংসদে উপস্থিত থাকলেও সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা প্রায়শই পারস্পরিক দোষারোপ এবং আক্রমণাত্মক বক্তব্যে লিপ্ত হতেন। আইন প্রণয়ন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গঠনমূলক আলোচনার পরিবেশ ছিল না। এর ফলে সংসদ একটি কার্যকর বিতর্কের কেন্দ্র হওয়ার পরিবর্তে রাজনৈতিক বাকযুদ্ধের মঞ্চে পরিণত হয়।

২. নির্বাচন কমিশনের দুর্বলীকরণ

একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু উভয় সরকারই নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছে।

  • বিতর্কিত নিয়োগ: সরকারগুলো নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের, বিশেষ করে দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিত। এর ফলে কমিশনের নিরপেক্ষতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
  • মাগুরা উপ-নির্বাচন (১৯৯৪): ১৯৯৪ সালের মাগুরা-২ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তৎকালীন বিএনপি সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন প্রমাণ করে যে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন। এই নির্বাচনের ঘটনাই পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিকে জোরালো করে তোলে।
  • ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা: ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ দিকে এক কোটির বেশি ভুয়া ভোটারসহ একটি ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা প্রণয়নের অভিযোগ ওঠে, যা নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তিকে তলানিতে নিয়ে যায়।

৩. তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সংকট

দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়—এই ধারণা থেকে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফলে সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচন এই ব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত হয় এবং তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়।

কিন্তু এই প্রশংসিত ব্যবস্থাও দুই দলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়।

  • বিচারপতিদের অবসরের বয়স বৃদ্ধি: ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে। এই পদক্ষেপ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতার মূল ধারণাকেই আঘাত করে।
  • ২০০৬ সালের সংকট: ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কে. এম. হাসানকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মেনে নিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট অস্বীকৃতি জানায়। এই অচলাবস্থার মধ্যেই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।

এই সংকটের ফলে দেশে চরম রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা এবং লগি-বৈঠার মতো প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটে। শেষ পর্যন্ত, এই ব্যর্থতার পথ ধরেই ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাবাহিনী সমর্থিত একটি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে, যা 'এক-এগারো' নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে প্রায় দুই বছরের জন্য দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।

উপসংহার

সার্বিকভাবে, ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়কালটি বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য একটি মিশ্র অভিজ্ঞতার অধ্যায়। একদিকে যেমন স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন, গঙ্গার পানি চুক্তি এবং পার্বত্য শান্তি চুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য ছিল, তেমনই অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক অবিশ্বাস, প্রতিহিংসা ও সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ক গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে।

প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সংসদ, নির্বাচন কমিশন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার পরিবর্তে নিজেদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। সংসদ বয়কট, প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কলুষিত করার প্রচেষ্টা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। এর চূড়ান্ত পরিণতিতে, একটি অরাজনৈতিক শক্তি দেশের শাসন ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পায়, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের জন্য একটি অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এই সময়ের সাফল্য ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

একই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট

খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামল (১৯৯১-৯৬) এবং শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলের (১৯৯৬-২০০১) একটি তুলনামূলক নীতি ও কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়ন কর।

খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামল (১৯৯১-৯৬) ও শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলের (১৯৯৬-২০০১) নীতি ও কার্যক্রমের তুলনামূলক মূল্যায়ন। এই নিবন্ধে অর্থনৈতিক সংস্কার, বৈদেশিক নীতি, সামাজিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

পড়ুন

The main challenge of democracy in Bangladesh is not the holding of elections, but the establishment of democratic institutions and culture. – এই উক্তিটির আলোকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের মূল প্রতিবন্ধকতাসমূহ (যেমন: রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা, দুর্বল সংসদ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা) আলোচনা কর।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের প্রধান প্রতিবন্ধকতাসমূহ বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা, দুর্বল সংসদ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অভাব, এবং অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা কীভাবে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে বাধাগ্রস্ত করছে তা এই লেখায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

পড়ুন