Skip to main content

মধ্যযুগ ছিল মূলত অরাজনৈতিক যুগ - আলোচনা কর

মেফতাহুল তম্মীএকাডেমিক গবেষক ও লেখক

ভূমিকা

রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে মধ্যযুগকে প্রায়শই একটি "অরাজনৈতিক যুগ" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর থেকে রেনেসাঁর সূচনা পর্যন্ত প্রায় এক হাজার বছরের এই সময়কালকে (প্রায় ৪৭৬ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ) আধুনিক রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে এর অরাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যগুলো সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়। এই উক্তিটি দ্বারা বোঝানো হয় যে, মধ্যযুগে আধুনিক রাষ্ট্রের মতো কোনো সুসংগঠিত, সার্বভৌম ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক কাঠামোর অস্তিত্ব ছিল না। এর পরিবর্তে, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা মূলত ধর্ম, সামন্ততন্ত্র এবং প্রথার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হতো।

এই সময়কালে রাজনৈতিক দর্শন বা চিন্তার বিকাশ ছিল অত্যন্ত সীমিত। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছিল বিকেন্দ্রীভূত এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিভক্ত, যেমন—সামন্ত প্রভু, গির্জা এবং রাজপরিবার। মানুষের জীবন ও আনুগত্য কোনো কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে স্থানীয় ক্ষমতা কাঠামো এবং ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বারা নির্ধারিত হতো। তাই "মধ্যযুগ ছিল মূলত অরাজনৈতিক যুগ" - এই ধারণাটি বোঝার জন্য তৎকালীন সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং ধর্মীয় প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করা অপরিহার্য।

মধ্যযুগকে অরাজনৈতিক যুগ বলার কারণ

মধ্যযুগকে অরাজনৈতিক যুগ বলার পেছনে একাধিক শক্তিশালী কারণ বিদ্যমান। এই কারণগুলো তৎকালীন ইউরোপের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কাঠামোর গভীরে প্রোথিত ছিল। আধুনিক রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান, যেমন—সার্বভৌমত্ব, কেন্দ্রীয় শাসন, এবং জনগণের রাজনৈতিক অধিকারের অনুপস্থিতি এই যুগকে একটি ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। নিম্নে এর প্রধান কারণগুলো আলোচনা করা হলো:

১. সামন্ততন্ত্রের প্রাধান্য (Dominance of Feudalism)

মধ্যযুগের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো ছিল সামন্ততন্ত্র (Feudalism)। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ইউরোপে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়, তা পূরণে এই ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। সামন্ততন্ত্রের মূল ভিত্তি ছিল ভূমি, যা রাজা তার অধীনস্থ লর্ড বা ব্যারনদের সামরিক সেবার বিনিময়ে প্রদান করতেন। এই লর্ডরা আবার তাদের অধীনস্থ নাইট বা ভ্যাসালদের মধ্যে জমি বণ্টন করতেন।

এই ব্যবস্থায় রাজনৈতিক ক্ষমতা অত্যন্ত বিকেন্দ্রীভূত ছিল। রাজা নামেমাত্র শাসক হলেও প্রকৃত ক্ষমতা ছিল স্থানীয় সামন্ত প্রভুদের হাতে। তারা নিজেদের এলাকায় প্রায় স্বাধীনভাবে শাসন করতেন, বিচারকার্য পরিচালনা করতেন এবং কর আদায় করতেন। ফলে একটি ঐক্যবদ্ধ ও কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রের ধারণা গড়ে উঠতে পারেনি। মানুষের আনুগত্য ছিল রাজার প্রতি নয়, বরং তাদের নিকটবর্তী সামন্ত প্রভুর প্রতি। এই স্থানীয় আনুগত্য জাতীয়তাবোধ এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে ওঠার পথে প্রধান বাধা ছিল।

২. গির্জার একচ্ছত্র আধিপত্য (Absolute Dominance of the Church)

মধ্যযুগের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ছিল রোমান ক্যাথলিক গির্জা। গির্জা কেবল একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছিল না, এটি ছিল রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্র। পোপ এবং অন্যান্য গির্জার কর্মকর্তারা রাজাদের উপর ব্যাপক নৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতেন। অনেক সময় গির্জার ক্ষমতা রাষ্ট্রের ক্ষমতাকেও অতিক্রম করত।

পোপদের ক্ষমতা এতই অপ্রতিরোধ্য ছিল যে, তারা রাজাদের ধর্ম থেকে বহিষ্কার (Excommunication) করার মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারতেন। পোপ সপ্তম গ্রেগরি এবং সম্রাট চতুর্থ হেনরির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব (Investiture Controversy) প্রমাণ করে যে, পোপ একজন সম্রাটের ক্ষমতাকেও চ্যালেঞ্জ করার শক্তি রাখতেন। এই যুগে রাষ্ট্রকে গির্জার অধীনস্থ একটি সংস্থা হিসেবে দেখা হতো এবং বিশ্বাস করা হতো যে, রাজনীতি ধর্মীয় নির্দেশে পরিচালিত হবে। কোনো ব্যক্তিকে রাজনৈতিক সমাজের সদস্য হতে হলে তাকে প্রথমে খ্রিস্টান হতে হতো। গির্জার এই সর্বব্যাপী প্রভাব রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতাকে সীমিত করে ফেলেছিল, যা রাজনীতিকে গৌণ করে তুলেছিল।

৩. সার্বভৌমত্বের অনুপস্থিতি (Absence of Sovereignty)

আধুনিক রাষ্ট্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সার্বভৌমত্ব, অর্থাৎ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চূড়ান্ত ক্ষমতা এবং বাহ্যিক বিষয়ে স্বাধীনতা। মধ্যযুগে এই সার্বভৌমত্বের ধারণাটি প্রায় অনুপস্থিত ছিল। রাজার ক্ষমতা চূড়ান্ত বা নিরঙ্কুশ ছিল না। তাকে একদিকে যেমন শক্তিশালী সামন্ত প্রভুদের সাথে ক্ষমতা ভাগ করে নিতে হতো, তেমনই অন্যদিকে পোপের ধর্মীয় কর্তৃত্বের কাছে নতিস্বীকার করতে হতো।

ক্ষমতা ছিল বহুধাবিভক্ত ও অসংগঠিত। রাজা, সামন্ত প্রভু, গির্জা এবং বিভিন্ন গিল্ড বা সমিতির মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। আইনের উৎসও এক ছিল না; রাজকীয় আইনের পাশাপাশি গির্জার আইন (Canon Law) এবং স্থানীয় প্রথাগত আইন প্রচলিত ছিল। এই ক্ষমতার বিভাজন একটি একক, সার্বভৌম রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।

৪. রাজনৈতিক দর্শনের অভাব (Lack of Political Philosophy)

প্রাচীন গ্রিসে প্লেটো ও অ্যারিস্টটলের মতো দার্শনিকরা যেভাবে রাষ্ট্র, ন্যায়বিচার ও নাগরিকতা নিয়ে গভীর ও মৌলিক রাজনৈতিক তত্ত্ব প্রদান করেছিলেন, মধ্যযুগে তেমন কোনো স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দর্শনের বিকাশ ঘটেনি। এই যুগের চিন্তাভাবনা মূলত ধর্মতত্ত্ব দ্বারা প্রভাবিত ছিল। সেন্ট অগাস্টিন বা সেন্ট টমাস অ্যাকুইনাসের মতো চিন্তাবিদরা রাজনৈতিক বিষয়াবলীকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঈশ্বরের বিধান অনুযায়ী একটি আদর্শ শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, কোনো ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক তত্ত্ব নির্মাণ করা নয়।

রাজনৈতিক দর্শন তখন ধর্মতত্ত্বের একটি শাখা হিসেবে বিবেচিত হতো, যা স্বাধীন রাজনৈতিক চিন্তার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। রাজার ক্ষমতাকে ঐশ্বরিক আখ্যা দেওয়া হতো (Divine Right of Kings), যার ফলে রাজার কাজের যৌক্তিকতা বা সমালোচনা করার সুযোগ ছিল না।

৫. জনগণের রাজনৈতিক অংশগ্রহণহীনতা (Lack of Public Political Participation)

মধ্যযুগের সমাজ ছিল কঠোরভাবে শ্রেণিবিভক্ত। সাধারণ কৃষক, ভূমিদাস বা কারিগরদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ ছিল না। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আইন প্রণয়ন বা শাসনব্যবস্থায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত ছিল অভিজাত সামন্ত এবং গির্জার পাদ্রিদের হাতে। এই ব্যাপক রাজনৈতিক অংশগ্রহণহীনতার কারণে রাষ্ট্র কখনোই জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি, যা আধুনিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার একটি মূল ভিত্তি।

৬. নগর-রাষ্ট্রের অবসান ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা (Decline of City-States and Economic Isolation)

প্রাচীন গ্রিসের মতো শক্তিশালী ও স্বায়ত্তশাসিত নগর-রাষ্ট্রের (City-state) পতন মধ্যযুগের রাজনৈতিক শূন্যতার অন্যতম কারণ। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ইউরোপ জুড়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়। বাণিজ্য কমে যায় এবং অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক ও আত্মনির্ভরশীল হয়ে পড়ে। প্রতিটি ম্যানর বা জমিদারি এলাকা অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ও নির্ভরশীলতা কমে যায়। এই অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতা রাজনৈতিক একীকরণের পথে একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে।

অরাজনৈতিক যুগের ধারণাটির সীমাবদ্ধতা

"মধ্যযুগ ছিল মূলত অরাজনৈতিক যুগ" - এই উক্তিটি অনেকাংশে সত্য হলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মধ্যযুগকে পুরোপুরি রাজনীতিশূন্য বলাটা একটি সরলীকরণ। রাজনীতি তার আধুনিক রূপ পরিগ্রহ না করলেও ভিন্ন রূপে এর অস্তিত্ব ছিল।

  • ক্ষমতার দ্বন্দ্ব: পোপ ও সম্রাটের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, যা 'ইনভেসটিচার বিতর্ক' নামে পরিচিত, তা ছিল একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক সংগ্রাম। একইভাবে, রাজাদের সঙ্গে শক্তিশালী সামন্ত প্রভুদের সংঘাতও রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল।

  • রাজতন্ত্রের অস্তিত্ব: যদিও রাজারা দুর্বল ছিলেন, তবুও রাজতন্ত্রের কাঠামোটি টিকে ছিল। বংশানুক্রমিক শাসন, রাজ্যজয় এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মতো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও অব্যাহত ছিল।

  • প্রাথমিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিকাশ: মধ্যযুগের শেষ দিকে, বিশেষত ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে, ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় শাসন শক্তিশালী হতে শুরু করে। ম্যাগনা কার্টা (১২১৫) রাজার ক্ষমতাকে সীমিত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একটি অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দলিল।

  • ইতালীয় নগর-রাষ্ট্র: মধ্যযুগের শেষের দিকে ইতালির ভেনিস, ফ্লোরেন্স ও জেনোয়ার মতো নগর-রাষ্ট্রগুলোতে এক ভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক বিকাশ ঘটেছিল, যা রেনেসাঁর পথ প্রশস্ত করে।

সুতরাং, মধ্যযুগকে 'অরাজনৈতিক' না বলে 'প্রাক-রাজনৈতিক' বা 'ভিন্ন ধারার রাজনৈতিক' যুগ বলাটা অধিকতর যৌক্তিক। এখানে আধুনিক értelemben vett politika অনুপস্থিত থাকলেও ক্ষমতা, শাসন এবং নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব কাঠামো বিদ্যমান ছিল।

উপসংহার

উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, মধ্যযুগ আধুনিক রাজনৈতিক মানদণ্ডে প্রকৃতপক্ষে একটি অরাজনৈতিক যুগ ছিল। সামন্ততন্ত্রের কারণে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, গির্জার অপ্রতিরোধ্য আধিপত্য, সার্বভৌমত্বের অনুপস্থিতি এবং স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দর্শনের অভাব—এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য সম্মিলিতভাবে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছিল যেখানে আধুনিক রাষ্ট্রের বিকাশ সম্ভব ছিল না।

সমাজ মূলত ধর্মীয় বিশ্বাস, স্থানীয় প্রথা এবং ব্যক্তিগত আনুগত্যের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হতো, কোনো সুসংগঠিত রাজনৈতিক আদর্শের ওপর নয়। যদিও এই যুগে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং শাসন সংক্রান্ত কার্যকলাপ পুরোপুরি অনুপস্থিত ছিল না, তবে তা আধুনিক রাজনীতির মতো প্রাতিষ্ঠানিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রূপ লাভ করতে পারেনি। তাই, মধ্যযুগকে আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের পূর্ববর্তী একটি বিশেষ পর্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়, যেখানে রাজনীতির ধারণা ছিল গৌণ এবং ধর্ম ও সামাজিক প্রথাই ছিল মুখ্য। এই 'অরাজনৈতিক' পরিস্থিতিই পরবর্তীকালে ইউরোপে রেনেসাঁ এবং আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের উত্থানের পথ প্রশস্ত করেছিল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট

একই বিষয়ের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট

আবুল ফজলের রাজনৈতিক চিন্তাধারা আলোচনা কর।

আবুল ফজলের রাজনৈতিক চিন্তাধারা মুঘল সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রদর্শনকে এক নতুন রূপ দিয়েছিল। তার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বাদশাহের ঐশ্বরিক অধিকার, সুলহ-ই-কুল বা সর্বজনীন শান্তির নীতি, এবং একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্রের ধারণা। তিনি সম্রাট আকবরের শাসনব্যবস্থাকে একটি শক্তিশালী তাত্ত্বিক ভিত্তি প্রদান করেন, যা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল প্রজার জন্য ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপর জোর দেয়। তার 'আইন-ই-আকবরী' ও 'আকবরনামা' গ্রন্থে এই চিন্তাধারার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়, যা তাকে মধ্যযুগের ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক চিন্তাবিদে পরিণত করেছে।

পড়ুন

ইসলামী রাষ্ট্রের বুনিয়াদ আলোচনা কর।

ইসলামী রাষ্ট্রের বুনিয়াদ বা ভিত্তি হলো তাওহীদ, রিসালাত এবং খিলাফত। এই আর্টিকেলে ইসলামী রাষ্ট্রের ধারণা, মূলনীতি, শাসনব্যবস্থা এবং বৈশিষ্ট্যসমূহ কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এটি আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, ন্যায়বিচার এবং জনকল্যাণের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি আদর্শিক রাষ্ট্রব্যবস্থার রূপরেখা প্রদান করে।

পড়ুন